নিউজ ডেস্ক:
ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি করায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীরা। গণপরিবহন না চলায় কর্মজীবী মানুষেরাও বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থাও ভাড়া সমন্বয় না হওয়ায় গতকাল শনিবার বিকেল থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দিয়েছে।
এ দিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানসহ কয়েকটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি দেশের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন এবং সংশ্লিষ্ট নেতা-মন্ত্রীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার রোধে সরকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার সবসময়ই জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।
রোববার বিআরটিএর ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন এবং আলাপ-আলোচনা করে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় মন্ত্রী আবার পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্যপরিবহনসহ জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান।