নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলা প্রসাশকের নির্দেশে রক্ষা পেল নাটোরের উত্তরা গণভবনের রাস্তার ৬৫টি গাছ। নাটোরের উত্তরা গণভবনের রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় রাস্তার দু’ধারের গাছ কাটার জন্য জেলা পরিষদকে চাহিদাপত্র দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। গাছকাটার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন নিতে দিতে হওয়ার কারণে রাস্তা প্রশস্তকরন করে সওজ।
সওজের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর রাস্তার দু’ধারে গাছ কাটার অনুমোদন পায় নাটোর জেলা পরিষদ। গত সপ্তাহে গাছকাটার কার্যাদেশও দেয় তারা। কিন্তু রাস্তা প্রশস্তকরন হয়ে যাওয়ার পরে আবার নতুন করে রাস্তার শোভাবর্ধনকারী গাছগুলো কেন কাটা হবে এমন প্রশ্ন জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচরে আনার পরে তিনি গাছ না কাটার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। শেষ পর্যন্ত গণভবন প্রবেশ পথের দু’ধারে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকে জেলা পরিষদ। এতে করে রক্ষা পায় ৬৫টি গাছ।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ উত্তরা গণভবনের প্রবেশপথে রাস্তাটি প্রশস্তকরনের প্রকল্প নেয়। সে মোতাবেক তারা দু’ধারে গাছ কাটার জন্য জেলা পরিষদকে চিঠি দেয়। কিন্তু গাছ কাটার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন নিতে দেরি হয়ে যায়।
এরমধ্যেই রাস্তা প্রশস্তকরণ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার। কিন্তু পরবর্তীতে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটার জন্য অনুমোদন পায় জেলা পরিষদ। সে মোতাবেক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৬৫টি গাছ তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে তারা। গত সপ্তাহে গাছ কাটার কার্যাদেশ জেলা পরিষদ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাছগুলো কেটে নেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। সে মোতাবেক ঠিকাদার বালিকা শিশু সদনে যাওয়ার রাস্তার ওপর দুটি গাছ কাটতে শুরু করে। এসময় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে গাছ না কাটার জন্য অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর পরই জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে অবগত করা হয়েছে। গাছ না কাটার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাটোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, আমরা গাছকাটা থেকে সরে এসেছি। ইতোমধ্যে ঠিকাদারের কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা নেওয়া হয়েছে। যাতে করে তিনি আর কোন গাছ কর্তন না করে। পরবর্তীতে ওই রাস্তাটি আরও সুন্দর করার জন্য কি প্রদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা আমরা ভেবে দেখবো।
এলাকাবাসীরা জানান, নাটোর শহরের আশ-পাশে যে কয়টি সবুজ প্রকৃতির রাস্তা রয়েছে তার মধ্যে উত্তরা গণভবনের প্রবেশদ্বারের রাস্তা একটি। দু’ধারের গাছপালার কারনে রাস্তাটি সুন্দর দেখায়। এই সবুজ প্রকৃতি কর্তন করা হলে গণভবনের সৌন্দর্য নষ্ট হবে।