নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুল ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম খলিল রতন নির্বাচিত হয়েছে। সিনিয়র সভাপতি মোসফিকুর রহমান টিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুল নির্বাচিত হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিজ সমির চন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি মেয়র খাইরুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানসহ অন্যরা।
এদিকে, আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে পৌর পার্কে জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময়ে সমাবেশস্থলসহ আশপাশে ৫টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে মিনহাজার নামের একজন গুরুত্ব আহত হয়েছে।
আহত ব্যক্তি জেলা যুবলীগ নেতা মিনহাজ। পরে থাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২ টার দিকে মঞ্চের পেছনে বসাকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ – কৃষকলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মঞ্চের ভেতরে ও বাহির ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ কোন কথা বলতে চাননি গণমাধ্যমের সামনে।
অপরদিকে, বিকেলে কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে প্রার্থী নির্বাচনের সময় জিয়াউর রহমান আরমান নামের এক প্রার্থীককে সার্কিট হাউসের প্রবেশ মুখে বেধড়ক মারধর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আবারো ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় জিয়াউর রহমান আরমান আহত হয়েছে। তবে জানা গেছে জিয়াউর রহমান আরমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এর সমর্থীত প্রার্থী। তবে এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদকে একাধিকবার ফোর দিলে সে ফোন রিসিভ করেননি।
কৃষকলীগের প্রার্থী জিয়াউর রহমান আরমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করেন নি তিনি। আর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান আরমানকে যারা মেরেছে তারা বড় দলের অনুপ্রবেশকারী। তবে আরমান ছাত্রলীগে থেকে উঠে আসা তৃণমুল নেতা। সে কখনই অনুপ্রবেশকারী নয়। আর যারা তাকে মেরেছে দলের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি মেয়র খাইরুজ্জামান লিটন জানান, বড় দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী আছে। এটা মারধর বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে জামায়াত-বিএনপি থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা। তারা ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চেয়েছে। যাতে আমাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল। সেটা হাতিয়ার করে পানিতে মাছ স্বীকার করতে চেয়েছে। সেটা করতে পারেনি তারা। দলের নেতাকর্মীরা রুখে দিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে জেলা কৃষকলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।