স্বাস্থ্য ডেস্ক
একথা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রার সঙ্গে বহু বড়
রোগের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফলে সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ও নিশ্চিন্ত ঘুম
অবশ্য প্রয়োজনীয়। ঘুমোলে আপনার শরীরের ক্লান্তি যেমন দূর হয় তেমনই পুরোনো
কোষের বদলে শরীরে নতুন কোষ তৈরি হয়, যা আপনাকে আরও তরতাজা করে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারাদিনের কাজকর্মের পরে সঠিক পরিমাণে ঘুম অবশ্যই
প্রয়োজন আমাদের। তবে যদি অলস জীবনযাপনে আপনার শরীর অভ্যস্ত হয়, তাহলেও সেটা
খারাপ। এর থেকে ওজন বেড়ে যাওয়া সহ একাধিক রোগ এসে বাসা বাঁধে শরীরে। তবে
জানেন কি, ঘুমিয়ে থেকেও ওজন ঝরাতে পারবেন আপনি? বিশ্বাস হচ্ছে না, কীরকম
সেই পন্থা তা জেনে নিন নিচের স্লাইডে।
শরীরকে ঠান্ডা রাখুনঃ শরীরকে ঘুমের মধ্যে খানিকটা ঠান্ডা রাখতে পারেন। এমন করলে শরীরকে গরম করতে অনেকটা এনার্জির প্রয়োজন হবে। তাতে কিছুটা ক্যালোরি ঘুমানো অবস্থায় খরচ হবে। তাই শীতের সময় অনেক বেশি চাপা দিয়ে শুয়ে শরীর গরম রাখার বদলে প্রয়োজন বুঝে খানিকটা ঠান্ডা হাওয়াও গায়ে লাগাতে পারেন।
অন্ধকারে ঘুমোনঃ মেলাটোনিন হরমোন ওজন কমানো ও নিশ্চিন্ত ঘুমে সাহায্য করে। ঘর অন্ধকার হলে এই হরমোন বেশি করে নিঃসৃত হয়। তাই নিশ্চিন্ত ঘুম পেতে ও ওজন ঝরাতে ঘর অন্ধকার করে ঘুমোন।
লবণ খাবার এড়িয়ে চলুনঃ যে খাবারে বেশি নুন রয়েছে তেমন খাবার এড়িয়ে চলুন। নোনতা স্ন্য়াকস বা চাইনিজ খাবার বা নানা ধরনের জাঙ্ক ফুড বিশেষ করে রাতে এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। এই লবণ রাতে শোওয়ার পরে হাত-পা এমনকী মুখ ফুলিয়ে দেয়। ফলে ঘুম থেকে উঠে মোটা লাগে শরীর।
তর্ক নয়ঃ আমরা অনেকেই ঘুমের আগে নিকটজনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। এতে রাতের ঘুম যেমন নষ্ট হয়, তেমনই মানসিকভাবেও পিছিয়ে পড়েন আপনি। এর ফলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয় যা শরীরকে ফুলিয়ে তোলে।
বাইরের খাবার নয়ঃ রাতে কখনও বাইরের খাবার এনে খাবেন না। বাইরের খাবারে অনেক বেশি ক্য়ালোরি থাকে যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া রাতের খাবার সবসময় হালকা রাখবেন।
রাতের ওয়ার্কআউটঃ রাতে খাবার পরে খানিকক্ষণ হাটাহাটি করুন। এতে ঘুম ভালো হবে। পরিমিত ও নিশ্চিন্ত ঘুম হলে শরীরের ফ্যাটও কমে যাবে ও আপনাকে রোগা লাগবে।
ফাইবার যুক্ত খাবারঃ নিজের প্রতিদিনের ডায়েটে বেশি করে ফল, শাকসবজি ইত্যাদি ফাইবার যুক্ত খাবার রাখবেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টি জোগান ঠিক থাকবে ও এতে ক্য়ালোরিও অনেকটা কমে যাবে।