চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি আয়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
হয়েছে। পণ্য ও সেবা খাত মিলিয়ে গত জুলাই মাসে রপ্তানি হয়েছে সর্বমোট ৩৮৮
কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগের অর্থবছরের জুলাইয়ে ছিল ৩৫৮ কোটি ১৪ লাখ
ডলার। মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ
করেছে।
ইপিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা
হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার। সে হিসাবে অর্থবছরের প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রা
ছিল ৩৮২ কোটি ডলার। তার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৩৮৮ কোটি ডলার। রপ্তানি আয়
বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে পোশাক খাত। চলতি (২০১৯-২০)
অর্থবছরের জুলাইয়ে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। এ সময় ৩৩১
কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩০১ কোটি ডলার।
এদিকে দীর্ঘসময় পড়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ১০ কোটি ডলারের চামড়া ও
চামড়া পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ৯০ লাখ ডলারের চামড়া, ২ কোটি ৪০ লাখ
ডলারের চামড়াপণ্য ও ৭ কোটি ২৩ লাখ ডলারের চামড়ার জুতা রপ্তানি হয়েছে। সব
মিলিয়ে চামড়া ও চামড়াপণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তবে কাঁচা চামড়ার রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। চামড়ার পাশাপাশি ইতিবাচক
ধারায় ফিরে এসেছে পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে
রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের পাট ও পাটপণ্য। তার মধ্যে ৬৫ লাখ
ডলারের কাঁচা পাট, ৫ কোটি ডলারের পাটের সুতা ও ৮৩ লাখ ডলারের পাটের বস্তা
রপ্তানি হয়েছে। সব মিলিয়ে পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে দশমিক ৮৩ শতাংশ।
গত মাসে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে কৃষিপণ্য রপ্তানি। জুলাইয়ে ৭ কোটি ৭১ লাখ
ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের জুলাইয়ে ছিল ১০ কোটি ৩৫ লাখ
ডলার। অন্যদিকে গত মাসের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ কোটি ৪২ লাখ
ডলার।
কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে কমেছে ফল রপ্তানি। এছাড়া মসলা ও শুকনো খাবার
রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও ৪০ দশমিক ২৭ শতাংশ হারে।
আরও দেখুন
পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …