নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও।
রবিবার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক ইয়াকুব হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এনজিওগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এমআরএ’র ওই নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ হামিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক একাউন্টে আজ এ বিষয়ে একটি পোষ্ট শেয়ার করেন, মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আগামী জুন পর্যন্ত কোনো ঋণ গ্রহীতা কিস্তি না দিলে তাকে চাপ দেওয়া যাবে না। তবে সেচ্ছায় যদি কোন ঋণ গৃহিতা ঋণ পরিশোধ করতে চায় তবে তা গ্রহণ করতে পারবে এনজিওগুলো।