নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া
একেবারেই দ্বীপের মত একটা গ্রাম, চারিদিকে পানি থৈ থৈ। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যেতে হয় নৌকায় চড়ে। গ্রামের নাম বেড়াবাড়ি। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম এটি। সিংড়া উপজেলা সদর থেকে নৌকা যোগে ওই গ্রামে যেতে সময় লাগে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা। নৌকাতে ছোট একটি দোকান করে গ্রামের বাড়ি বাড়ি বিভিন্ন প্রকার তৈজষপত্র পৌছে দিচ্ছেন আবুল খন্দকার নামের একজন বৃদ্ধ। তবে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তিনি কাজ করছেন না, এটাকে তিনি কাজও বলছেন না, বলছেন জনসেবা।
৬৫ বছরের এই বৃদ্ধের স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে সংসার। ছেলে দুটিই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মরত। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। তার সংসারের যাবতীয় খরচ ছেলেরাই দেয়। কিন্তু বন্যার কারণে ডুবে গেছে পুরো গ্রাম এমনকি আশেপাশের গ্রামগুলোও। গ্রামের শিশু, বৃদ্ধ, গৃহবধূদের কোন কিছু কিনতে দোকানে যাওয়ার মত পরিস্থিতি নাই, তাই তিনি একটি নৌকায় ভ্রাম্যমান দোকান করে বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছে জিনিসপত্র।
আবুল খন্দকার নারদ বার্তাকে বলেন, এটা আমার কাজ না, জনসেবা। কারণ কাজ করে আমার সংসার চালাতে হয়না। ছেলেরাই সংসার চালায়। বন্যায় চারিদিকে ডুবে যাওয়ায় এই জনসেবামূলক কাজ করে মানুষের উপকার করছি। জনসেবা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।