নিউজ ডেস্ক:
একটি আধুনিক জিও লোকেশন সিস্টেম ও একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডেটা ইনটারসেপ্টার প্রযুক্তি কিনছে সরকার।
রোববার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবে যন্ত্র দুটি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বৈঠক শেষে জানান, বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) আধুনিক জিও লোকেশন সিস্টেম সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে। সভায় প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত একজন বিশেষজ্ঞ জানান, জিও লোকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে জিপিএস ডিভাইসধারী ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
ডেটা ইন্টারসেপ্টার যন্ত্রটিও ব্যবহৃত হয় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে জানিয়ে তিনি বলেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমের বিভিন্ন তৎপরতা চিহ্নিত করার কাজে এটি ব্যবহৃত হবে।
ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডেটা ইন্টারসেপ্টার এবং এসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করে এনটিএমসি।
কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের মোবিলুয়াম ইনকরপোরেশনের কাছ থেকে ৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকায় যন্ত্রটি কেনার অনুমোদন দেয়।
এছাড়া সভায় সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জন্য ২০টি সিলভার রঙের টয়োটা হাইয়েস মাইক্রোবাস সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের চারটি পৃথক প্রস্তাবে মোট এক লাখ ৩০ হাজার টন বিভিন্ন রকম সার দেশি কোফকো এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) জন্য কাফকোর কাছ থেকে ২০১ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া কেনার প্রস্তাব।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) জন্য ৩০৪ কোটি ৬১ লাখ টাকায় মরোক্ক থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং একই দেশ থেকে আরেক লটে ১৮৫ কোটি টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি, ১৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৫ টাকায় রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার কেনার প্রস্তাব।
এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পাস হয় মোট ১৬টি প্রস্তাব।
এর মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাতটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল।
এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে মোট এক হাজার ৩৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৪ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ৪৪৯ কোটি ৪২ লাখ এবং দেশি ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ের জোগান দেওয়া হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।