নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া
রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবের অনিয়মের বিরুদ্ধে ৮ মেম্বারে অভিযোগ দাখিল করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব জাল স্বাক্ষর করে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে এলজিএসপি-৩’ র প্রকল্প অনুমোদন করাও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ইউপি সদস্যরা ৪২ মাসের সম্মানি ভাতাও পাইনি বলে জানান তারা।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ৬ নং জিউপাড়া ইউনিয়নের ৮ জন সদস্য (মেম্বার) গত ২০ এ আগস্ট জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, রাজশাহী। পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ জমা দেন।
মেম্বারা জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় ২১ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৩ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই বরাদ্দে আমরা সবাই মিটিং-এ বসে ৯টি ওয়ার্ডে ১৪ টি প্রকল্পের নাম দিই। কিন্তু চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার ও সচিব রবিউল আওয়াল তাদের ইচ্ছা মত জাল স্বাক্ষর করে ১, ৪, ৫ ও ৯ এই চারটি ওয়ার্ডের প্রকল্প বাদ দিয়ে ১১টি প্রকল্প পাশ করে। এর মধ্যে সরিষাবাড়ী ৩ নং ওয়ার্ডে ৪টি প্রকল্পের কাজ করছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার জানান, আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আমিই এই ইউনিয়নের মালিক, তাই যা ইচ্ছা তাই করবো। তোমরা নির্বাচন করেছো তাই প্রকল্পের সভাপতি হতে পারবেনা। কিন্তু জয়নাল মেম্বার ভোট করেছে তাকে তিনটি প্রকল্পের সভাপতি রেখেছেন তিনি।
জিউপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন সরকার ও সচিব রবিউল আওয়াল কে কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওলিউজ্জামান জানান, আমার অফিসে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে সম্ভবত ডিসি স্যারের নিকট অভিযোগ দিয়েছে। ডিসি স্যারের নির্দেশনা পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার, রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোঃ পারভেজ রায়হান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে ২৬ আগস্ট ডাকা হয়েছিলো। তবে সেই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …