সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি- ২০১৯’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার

‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি- ২০১৯’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার

দেশের চর, হাওর ও দুর্গম এলাকায় অবস্থিত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবহেলিত শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের সকল অবহেলিত শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। দুপুরের এই খাবারের তালিকায় থাকবে রান্না করা ভারী খাবার কিংবা ডিম, কলা ও উন্নতমানের বিস্কুট। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি- ২০১৯’ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর এই তথ্য জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব জানান, এই কর্মসূচির আওতায় দুর্গম চর, হাওর, উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য এলাকা, চা-বাগানসহ সব পিছিয়ে পড়া এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এবার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই স্কুল ফিডিং চালু করতে চায় সরকার। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ অটুট রাখতে পুষ্টিকর খাদ্য ভূমিকা পালন করে। বিদ্যালয়ের যাওয়ার উপযোগী শিশুদের এই চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্কুল মিল কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। 

তিনি আরো জানান, বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু আছে। এর মধ্যে ৯৩টি উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব স্কুলে শিশুদের উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দেশের তিনটি উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) অধীনে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু রয়েছে। দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর ও বান্দরবানের লামা উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন খিচুড়ি ও একদিন উন্নত পুষ্টিসম্পন্ন বিস্কুট দেওয়া হয়।

এই কর্মসূচির আওতায় তিন থেকে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দৈনিক শক্তি চাহিদার ৩০ শতাংশ ক্যালরি পূরণ করবে এমন খাবার দিতে হবে এই মিল থেকে। স্কুল মিল চালুর জন্য ‘জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ’ চালু হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল মিল বাস্তবায়নের জন্য পরিচালনা কমিটি থাকবে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুক্ত থাকবেন। থাকবে উপদেষ্টা কমিটি।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আর্থিক সমস্যার কারণে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের দিকে আকর্ষণ বাড়াতে এবং দৈনিক শক্তি চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করতে বর্তমান সরকার সদা বদ্ধপরিকর। পিছিয়ে পড়া শিশুদের সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যা যা করার তা’ই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …