নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম
নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদে সভা শেষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গ্রæরুদাসপুর) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও বঞ্চিত চার নেতা।
এ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১২টার থেকে বিলেক ৪টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী।
সভায় দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী ও রাজশাহী বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য আহম্মদ আলী মোল্লা এবং তাঁদের অনুগত দুই উপজেলার ১০ জন সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের সামনে সংবাদকর্মীদের ব্রিফিং করেন সভার প্রধান সমন্বয়ক সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস ১৯৮৬ সাল থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগের ভেতর উপদলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে। ফলে দলের ত্যাগী নেতারা মূল্যায়িত হচ্ছেন না। অন্য দলের মানুষ সুযোগ–সুবিধা ভোগ করছেন। এতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। আগামী নির্বাচনেও একই দাবিতে মাঠে নেমেছেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তাঁরা।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য কুদ্দুস রুটিন উন্নয়ন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন করেননি। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ–বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। দলের ত্যাগীদের পরিবর্তে জেলা আওয়ামী লীগে পরিবারতন্ত্র (ছেলে, মেয়ে, জামাতা ও ভাই) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে অনুগতদের জায়গা করে দিয়েছেন। এতে দলের ভেতর উপদলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বঞ্চিত নেতা–কর্মীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এককাট্টা হয়েছেন তাঁরা। দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের এই যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় আনবেন বলে প্রত্যাশা তাঁদের।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে আজ রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।