বাংলাদেশ সরকার শিশু অধিকারে সর্বোচ্চ সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে শিশু অধিকার এবং শিশুদের মৌলিক চাহিদাসহ সার্বিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু বা কিশোরীরা সকল সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়াতে “১০৯৮” জরুরী সেবার নম্বর চালু করে সরকার।
এর সুফলও ইতোমধ্যেই পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর এক জরিপে বলা হয়- ‘বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে কিশোর বয়সে শারীরিকভাবে সক্রিয়তার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও বাংলাদেশের ইতোমধ্যেই কিশোর বয়সে শরীরচর্চার ক্ষেত্রে বিশ্ব সূচকে সবার ওপরে উঠে এসেছে।’ বিগতবছরগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ শিশুমৃত্যুহার কমে যাওয়া এবং 0-৬ মাসের শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি টিকা নিশ্চিতকল্পে অনবদ্য অবদানের জন্য জাতিসংঘ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকে ভেকসিন হিরো পুরস্কার প্রদান করে। যা দেশের জন্য এক অনন্য সম্মাননা।
‘১০৯৮’ এর সুফল তুলে ধরতে গিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ‘হেল্পলাইনের কার্যকরী মান অক্ষুণ্ণ রাখতে হেল্পলাইন টিমের সাথে যুক্ত থাকেন প্রবেশন অফিসার, সমাজ সেবা কর্মকর্তা, সমাজকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, শিশু বান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ। পাশাপাশি ‘১০৯৮’ হেল্প লাইনকে দেয়া সকল তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। চাহিদানুযায়ী সহায়তা প্রদান করা হয় এবং সাহায্য প্রার্থীর কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফোনালাপ চলতে থাকে।’
১০৯৮ হেল্পলাইন কিঃ এটি এমন একটি সেবা ব্যবস্থা, যা সকল প্রকার প্রভাব বা চাপমুক্ত থেকে শিশুর সুরক্ষা প্রদানে গোপনীয়তা রক্ষা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সাধারণ ফোনের মাধ্যমেই মানুষ ১০৯৮ হেল্পলাইনের সাহায্য পেয়ে থাকে। ২৪ ঘন্টায়ই দেশের যেকোনো অঞ্চল থেকে ১০৯৮ হেল্পলাইন এ ফোন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
১০৯৮ হেল্পলাইন কি সহায়তা করেঃ শিশু নির্যাতন, শিশু পাচার, বাল্যবিবাহ রোধ করতে এবং শিশুদের আইনি সেবা দিতে ১০৯৮ হেল্পলাইন সাহায্য করে। ১০৯৮ হেল্পলাইন টেলিফোন পরিসেবার মাধ্যমে শিশুর জরুরী সেবা/ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে শিশুকে উদ্ধার ছাড়াও টেলিফোনে কাউন্সিলিং সেবা দিয়ে থাকে। নিরাপদ আশ্রয়, পুনর্বাসন ও নেটওয়ার্কের আওতাভুক্তকরনের মাধ্যমে শিশুদেরকে সমাজে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।