রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / জরুরি কাজ ছাড়া বের হলেই জেরা, জরিমানা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর সড়কে মানুষের অহেতুক চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থানে সেনা সদস্যরা।

জরুরি কাজ ছাড়া বের হলেই জেরা, জরিমানা

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার’ আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হতে নিষেধ’ করা হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশি চৌকি বসিয়ে পুলিশের সদস্যদের ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রীদের ঘরের বাইরে আসার কারণ জানতে দেখা গেছে। তল্লাশিতে সহায়তা করেন সেনা সদস্যরা।

অবশ্য রাজধানীর অনেক স্থানে রাস্তায় গত বুধবারের মতোই গতকাল লোকজনকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। রাজধানীর বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে লোকজন হাট-বাজারে জড়ো হয়। অনেক স্থানে দোকানে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে লোকজনকে। তবে বিভিন্ন স্থানে নির্দেশনা না মানায় গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জরিমানা করতে দেখা গেছে।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জনগণকে সচেতন করতে জেলা পুলিশ প্রশাসন মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মোটরসাইকেলে একাধিক আরোহীকে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরো বাড়িয়ে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার আরো বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মানুষ যাতে ঘরে অবস্থান করে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।

গতকাল দেখা গেছে, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ, মতিঝিল, বাংলামোটরে প্রধান সড়কগুলোয় ঘন ঘন তল্লাশি চৌকি বসিয়ে জনসাধারণকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস নিয়ে রাস্তায় নেমে পুলিশকে তার কারণ বলতে হয়েছে।

মালিবাগ মোড়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, মানুষকে বারবার বলার পরও তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে।

সকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে সেনা সদস্যরা অপেক্ষমাণ ব্যক্তিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মাইকে প্রচার চালান। একইভাবে দুপুরে প্রগতি সরণিতে সেনা সদস্যরা মাইকিং করেন। এ সময় কয়েকজন পথচারীকে তাঁদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।

সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার লালবাগে বেড়িবাঁধসংলগ্ন বউবাজারে দোকানের বেশির ভাগই খোলা ছিল। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানদাররা বাসায় চলে যান।

দুপুর ২টার দিকে আজিমপুর গোরস্তানের সামনে সড়কে গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির কম দামের পণ্য কেনার জন্য পিকআপ ঘিরে থাকা ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই পণ্য কিনছিল। শফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আসলে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা উচিত।’

দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর আজিমপুর, নিউ মার্কেট, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর-১, কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকি ছাড়া জোরালো টহল দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন জরুরি সেবার বাইরেও অনেক দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অলিগলিতে চলেছে আড্ডা। সরকারি নির্দেশনার পরও অনেকেই বাইরে বের হচ্ছে।

আরও দেখুন

নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টায় ১ জনের আটকাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোর সদর থানার লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া এলাকায় শিশু(০৭) কে ধর্ষন চেষ্টায় আব্দুর রহমান(১৭)কে ১০ …