নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বৃহত্তর চলনবিলে চলছে ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই কাজ। অল্প জমি যাদের তারা আছে সবচেয়ে বেশি বিপদে। অল্প পরিমাণে জমি কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া মহল্লার কৃষক আতোয়ার আলী ও জাকির হোসেন তেমনই কৃষক। ধান পাকলেও অল্প জমি হওয়ায় শ্রমিক পাচ্ছিলেন না তারা। শনিবার (২৯ এপ্রিল) তাদের দুজনের ২ বিঘা জমির ধান কেটে দেয় সিংড়া পৌর ছাত্রলীগ। এরপর ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন তারা।
নাটোরের সিংড়ায় শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌরসভার শোলাকুড়া এলাকার ২ কৃষকের ২ বিঘা জমির বোরো ধান কেটে দেন সিংড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। এসময় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ সাজুসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীসহ তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দরিদ্র কৃষকদের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব ইসলাম জুয়েল এ কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে ৫ কৃষকরে ৪ বিঘা জমির ধান কেটে দেয়।
শোলাকুড়া মহল্লার কৃষক আতোয়ার আলী বলেন, আমার ১ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছিলাম না। বিনামূল্যে পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আজ আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
একই মহল্লার কৃষক জাকির হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে থেকে তার ১ বিঘা জমির ধান পেকে গেলেও শ্রমিক না পেয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না। অল্প জমি হওয়ায় শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে বিনামূল্যে ধান কেটে দিয়েছেন।
সিংড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় আমরা ছাত্রলীগ অসচ্ছল কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। বিগত দিনেও বন্যা, করোনাসহ যেকোনো দূর্যোগে আমরা পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো।