নিউজ ডেস্ক: পদবাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য, অগোচরে বিভিন্ন কমিটির অনুমোদন দেয়া, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়নের কারণে আগামীতে রাজনৈতিকভাবে গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে হবে বিএনপিকে। ছাত্রদল ও যুবদলের চলমান সংকট এবং পদত্যাগের বিষয়গুলো বিএনপির অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অসন্তোষের বিস্ফোরণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে দলীয় কোন্দল ও অসন্তোষের বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান না করতে পারলে দলে সংকট আরো বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
বিএনপির চলমান রাজনৈতিক সংকট ও তা থেকে উত্তরণের বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলটিতে নানা সমস্যা বাসা বেঁধেছে। সঠিক সময়ে কাউন্সিল না হওয়া, বিভিন্ন কমিটিতে অযোগ্যদের পদায়ন, মনোনয়ন বাণিজ্য ও পয়সাওয়ালাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে বিএনপির সকল স্তরে অসন্তোষ রয়েছে। আমার ধারণা, বিষয়টি সম্পর্কে দলটির হাইকমান্ড অবগত ছিলো। কিন্তু বিশেষ কোনো কারণে তারা সব সময়ই এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। তাদের এই নীরবতা দলের চরম ক্ষতি করছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে পদের জন্য ছাত্রদল ও যুবদলে অসন্তোষ চলছে। এটি কিন্তু একদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়। দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকায় উপায়হীন হয়ে দলটির নেতারা ন্যায্য পাওনা আদায়ে এখন আন্দোলন করছেন, পদত্যাগ করছেন। তবে অচিরেই যদি এসব সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে আগামীতে দলটিকে আরো সংকটে পড়তে হতে পারে।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপিপন্থী আরেক বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই কিন্তু দলটিতে সংস্কারের কথা বলছিলাম। পয়সা ও ক্ষমতার প্রভাবে আগাছা, অযোগ্য ও অপরীক্ষিতরা দলটির বিভিন্ন পদ দখল করে রেখেছেন। যার কারণে রাজপথে সক্রিয় হতে পারছে না বিএনপি। ইচ্ছামতো নেতা তৈরি করতে গেলেই দলে গণ্ডগোল বাধে, যা বিএনপি নেতারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। দল বাঁচাতে হলে ও রাজনীতিতে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে- লোভ, লালসা, প্রভাব-প্রতিপত্তির উপরে উঠতে হবে তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতাদের। অন্যথায় রাজনীতিতে মাইনর দল হয়েই ধুঁকতে হবে বিএনপিকে।