নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদেন নির্বাচনে “বিজয়ী হয়ে চেয়াম্যান হিসেবে নয় জনগনের চাকর হয়ে জনগণের সেবা করতে চাই” বলে মন্তব্য করেছেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী- ফেরদৌস উল আলম’। শুক্রবার সকালে স্থানীয় জনগনের সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন।
ফেরদৌস উল আলম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কুমরুল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
ফেরদৌস উল আলম বলেন, শিক্ষা জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুপ্রানীত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদান করি। আওয়ামীলীগের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করি। পরে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য নির্বাচিত হই। জনগের চাপের ২০১৮ সালে ২৮ ডিসেম্বর পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটের হিসাবে নির্বাচিত হই ।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা কালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে সরকার নির্দেশিত সকল কর্মকান্ড বাস্তবায়নে সক্রিয় ভুমিকা পালন করি। সরকারী সহয়তারপাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে নিজ ইউনিয়নের ৫ হাজার ঘরবন্ধি অসহায় পরিবারকে আর্থিক ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে সহযোহীতা করি।
তিনি আরো বলেন, বিভিন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ও আগুনে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে থাকি। কোন সময় সরকারী সহযোগিতা কোন সময় ব্যাক্তিগত অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
ফেরদৌস উল আলম বলেন, গত ১০ বছর ধরে অত্র ইউনিয়নের হত দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছি। আমি নির্বাচিত না হলেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমার এলাকাতে বহু বছর যাবত চোলাই মদসহ মাদকের অভায়ারন্ন ছিল। আমি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রসাশসের সহযোগীতায় বন্ধ করেছি।
স্ত্রী সেলিনা পারভীন বলেন, আমার স্বামী ফেরদৌস উল আলম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি মানুষের সমস্য নিয়ে থাকেন। পরিবারের জাবতীয় দেখভাল আমাকেই করতে হয়। সাধারন মানুষের পাশে থাকে, অসহায় মানুষের সেবা করে আমার ভালই লাগে। আমি চাই তার এই ধারা অব্যহত থাকুক।
মেয়ে ফাহমিদা আলম তিতলি বলেন, বাবা এই সকল কর্মকান্ডের কারনে আমরা দুই বোনকে আদর সোহাগ তেমন একটা পাই না। তার পরেও আমরা চাই বাবা কার্যক্রম পরিচালনার সংযুক্ত চলমান রাখে।
কুমরুল গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, ফেরদৌস উল আলম জোয়াড়ী ইউনিয়ন বাসীর আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব। তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকে সাধারন মানুসের পাশে থাকেন। ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সেটি আরো বেগবান হয়। সে সময়ে তিনি মাটির রাস্তা, বাঁশের ব্রিজ, বেকারত্ব দুরীকরণ, গরিব মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আমরা চাই তার এই কর্মকান্ডে পরিধি বিস্তার লাভ করুক।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা যেন তাঁকেই নৌকা প্রতিক দিয়ে ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তার এই কর্মকান্ডে অব্যহত রাখার সুগোদ দিবেন।
আরও দেখুন
নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত
নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম ,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন হেমন্তকাল। মাঠ …