নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় চেয়ার না পেয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অংশ নিয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ ও নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরি। এমপি রত্না আহমেদ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়র উমা চৌধুরি জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার(২রা মে) দুপুর ২ টায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে চত্বরে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টায় সভামঞ্চে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এর কিছু পরই চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টা ধরে সংঘর্ষ চলাকালে কবির বিন আনোয়ার চার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কার্যালয় সংলগ্ন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখের অফিসে অবস্থান নেন। সংঘর্ষ থামার পর তারা বেরিয়ে এসে পুনরায় সভা শুরু করেন। এসময় ছড়িয়ে থাকা কর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করলে বক্তব্য শুরু করেন কবির বিন আনোয়ার। কিন্ত ততক্ষণে সকল খালি চেয়ারে বসে পড়েছেন কর্মীরা।
এসময় মালেক শেখের অফিস থেকে বেরিয়ে এমপি রত্না ও মেয়র উমা বসার জন্য চেয়ার খুঁজতে থাকেন। চেয়ার না পেয়ে কার্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে যান তারা। প্রায় আধাঘন্টা সময় তারা দাঁড়িয়ে সভায় অংশ নেন। এসময় তাদের আশেপাশে থাকা কেউ নিজেদের চেয়ার ছেড়ে তাদের বসতে দেননি। এ সময় সভামঞ্চে বসে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলসহ, জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাত উপজেলা ও আট পৌর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
দাঁড়িয়ে থাকা প্রসঙ্গে সভা শেষে নারী সংসদ সদস্য রত্না আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই। কি বলব বলেন? দলের সকল প্রোগ্রামেও কি আমাকে ডাকা হয়? এই মন্তব্য করে তিনি কার্যালয় ছেড়ে যান। পৌর মেয়র উমা চৌধুরি বলেন, ‘ক্ষমতা ভাগাভাগির রাজনীতি করি না, রাজনীতি করি শেখ হাসিনার। যেখানে একজন সংসদ সদস্যকে বসতে দিয়ে সম্মান জানানো হয় না সেখানে আমি মেয়র আমাকে কেন ওরা বসতে দেবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখ বলেন, ‘এটা ভুল হয়েছে। যেহেতু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে সেহেতু হয়তো কারো তাদের দিকে মনযোগ ছিলো না। আমরাও চিন্তিত ছিলাম আবারো সন্ত্রাসীরা কার্যালয়ে ঢুকে হামলা করে কি না। ভবিষ্যতে আমরা এ ধরনের ঘটনা(দাঁড়িয়ে থাকা) যাতে না ঘটে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবো।
আরও দেখুন
লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুরে,,,,,,,, নাটোরের লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর ২০২৪) …