নিউজ ডেস্ক : দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে তার পরিবার। বয়স, শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় বেগম জিয়ার বোন, ভাই ও অন্যান্য সদস্যরা প্যারোল অথবা ভিন্ন কোনো উপায়ে মুক্তি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসার পক্ষে দাবি তুললেও রাজি নন বেগম জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান।
জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক মনে করেন, বেগম জিয়া দেশে থাকলে বিএনপি চাঙ্গা হবে। তিনি বিদেশ গমন করলে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ভেঙ্গে পড়বে। তাই দলকে টিকিয়ে রাখতে হলে বেগম জিয়াকে দেশে রাখার বিকল্প কোনো উপায় দেখছেন না তারেক।
লন্ডন বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বললে বেগম জিয়ার ইস্যুতে তারেক রহমানের এমন মনোভাবের বিষয়ে জানা গেছে।
বেগম জিয়াকে প্যারোলে মুক্ত করে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনদের পিড়াপিড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নতুন করে বিপত্তি ডেকে এনেছেন বেগম জিয়ার স্বজনরা। তারা ম্যাডামকে যেকোনো উপায়ে মুক্ত করে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেছেন। অথচ তারা কিন্তু এই বিষয়ে তারেক রহমানের সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি। বেগম জিয়ার সন্তান হিসেবে তারেক রহমানকে এটা জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তারা কোনো রকম যোগাযোগ ছাড়াই দেখা করে ম্যাডামকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। এগুলো দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
তিনি আরো বলেন, দলের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে বেগম জিয়াকে দেশের মাটিতে রেখে আন্দোলন করতে চান তারেক রহমান। বেগম জিয়া দেশে থাকলে বিএনপি আন্দোলন করার সাহস পাবে, অনুপ্রেরণা পাবে। যা তিনি বিদেশ থাকলে সম্ভব নয়। এছাড়া দলের দুই প্রধান নেতাই যদি বিদেশে থাকেন তবে বিএনপিকে নিয়ে নানা মশকরা করবে বিরোধী দলগুলো। এছাড়া বেগম জিয়া দেশে থাকলে সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা যাবে, ফলে বিএনপি লাভবান হতে পারবে। তাই কোনো মতেই বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার পক্ষে নন তারেক। যারা ম্যাডামকে বিদেশে পাঠাতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না।