নিউজ ডেস্ক:
হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১০ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় নিম্নে উল্লেখিত ছকে বর্ণিত সেবাসমূহ প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার নির্দেশনা অনুযায়ী উল্লেখিত কমিটি দুটি নিম্নরূপে গঠনপূর্বক এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
ইউনিয়ন কমিটি
১৪ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
কমিটির বাকি ১২ জন সদস্য হবেন- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী, মাদরাসার একজন শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার, ইউনিয়নের অন্তর্গত বৃহত্তম হাট/বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি।
ওয়ার্ড কমিটি
ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাদরাসার একজন শিক্ষক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, স্বাস্থ্য সহকারী, মসজিদের ইমাম, হাট/বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইটার, গ্রাম পুলিশ এবং আনসার-ভিডিপির একজন সদস্য।
কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়, ভ্যাকসিন গ্রহণে সর্বস্তরের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বয়স্ক ব্যক্তিদের ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে নিয়ে আসতে সহায়তা করা, কোভিড-১৯ সন্দিগ্ধ ব্যক্তিদের শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপজেলা হাসপাতালে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের জন্য পাঠানো ও শনাক্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশন বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করা, কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা এবং তাদের মাধ্যমে সেকেন্ডারি সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
কর্মপরিধিতে আরও বলা হয়, সর্বস্তরের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ও মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা, হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহারের ব্যবস্থা করা, সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করা এবং স্বাস্থ্যবিধি পালন, মাস্ক ব্যবহার, ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে এলাকার হাট-বাজারে ও অন্যান্য স্থানে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা।
চিঠিতে বলা হয়, কমিটি কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিটির সভাপতির মতামত প্রাধান্য পাবে।