নিউজ ডেস্ক:
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পণ্য রপ্তানির জন্য আলাদা কার্গো ভিলেজ তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদেশে সিলেটের পণ্য রপ্তানিকারকদের এ দাবিটি দীর্ঘদিনের। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গৃহীত প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পণ্য রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় রপ্তানিকারকরা। একই সঙ্গে ঢাকায় নিয়ে বিদেশে পণ্য রপ্তানির বিড়ম্বনাও লাঘব হবে তাদের।
পণ্য রপ্তানিতে পণ্যজট এড়াতে ঢাকার পাশাপাশি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে রপ্তানি সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের চারটি স্ক্যানার মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ পণ্যজট তৈরি হয়। পরে জট সামলাতে রপ্তানিকারকদের চাপের মুখে দুটি মেশিন চালু করে বেবিচক। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের পণ্যজট কমাতে সিলেট বিমানবন্দরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী পণ্য রপ্তানিতে শাহজালাল বিমানবন্দরের ওপর থেকে একক নির্ভরশীলতা কমিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে কার্গো ভিলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। তার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বেবিচককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজ তৈরিতে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন হবে, তা নেই। কার্গো ভিলেজ করতে বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে সিলেট বিমানবন্দরে স্বল্পপরিসরে কার্গো ভিলেজ করা যাবে বলে মত দিয়েছে বেবিচক।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের পণ্যজট সমস্যা সমাধানে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে গঠন করা ওই কমিটিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানির জন্য আলাদা কার্গো ভিলেজ তৈরির প্রস্তাব করা হয়।
কমিটির সদস্য ছিলেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি নাসির উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একই সঙ্গে কৃষিজাত পণ্যেরও রপ্তানি বাড়ছে। এখন শুধু শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ দিয়ে পণ্য রপ্তানি হয়। সেখানে সচল থাকা দুটি স্ক্যানার দিয়ে বিপুল পণ্যের চাপ সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে।