নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী ইউপি পরিষদ ভবনের উত্তর দিকের দেয়াল ঘেঁসে প্রকাশ্যে জমে ওঠেছে ভারতীয় চোরাই ও অবৈধ সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল বেচা-কেনার হাট। এই হাটের দক্ষিনে ১০ কিঃ মিঃ দূরে চারঘাট সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এক শ্রেণীর মোবাইল ব্যবসায়ী ও উঠতি বয়সের কিছু যুবক ভারতীয় চোরাই, সেকেন্ড হ্যান্ডসেট মোবাইল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন।
প্রকাশ্যে সপ্তাহে দুইদিন সোম ও শুক্রবার দুপুর থেকে নন্দনগাছী হাট এলাকায় ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মোবাইল ২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় কেনার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসছেন হাটবারে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিুরজ্জামান মনির সহ হাট এজারদার, স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক চা বিক্রেতা জানালেন, এখানে যেসব পোলাপাণ/ছেলেদের দেখছেন তারা অনেকেই বড়লোক ঘরের সন্তান, নেশার টাকা যোগাতে পরিবারের দামী মোবাইল এনে বিক্রি করে দেয় মাত্র এক থেকে দুই হাজার টাকায়। আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা হতে ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি হওয়া মালও বিক্রি হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মোবাইল ফোন কিনতে অনেকেই ভিড় জমিয়েছে নন্দনগাছী হাটে। আনুঃ ৪০০ লোকের সমাগম সেখানে। বিভিন্ন দামের ও মডেলের নতুন-পুরাতন মোবাইল হ্যান্ডসেট হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ১৪ থেকে ৩৫ বছরের যুবক সহ মাঝবয়সী কিছু মানুষ। কিছু মানুষকে জিঙ্গাসা করতেই তারা বলেন, কেন আপনি জানেন না এখানে সেকেন্ড হ্যান্ড ও চোরাই মোবাইল হ্যান্ডসেট পাওয়া যায় তাই আমরা বাঘা উপজেলা সদর ও বাওসা গ্রাম থেকে এসেছি। তারা বলেন এখানে বেশিদামের মোবাইল কম দামে কেনা সহ বিনিময় করার সুবিধা থাকায় শতকরাঃ- ১০% হারে হাটের এজারদারকে খাজনা দিয়ে মোবাইল ক্রয় করি।
প্রত্রিকার প্রতিবেদক, মোবাইল হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতির ছবি নিলে খাজনা/চাঁদা আদাঁয়কারী মনা (৪৫) নামক স্থানীয় কামীনিপাড়ার বাসিন্দা “হাতে ব্যাগ নিয়ে ব্যাক্তি” হাত উচুঁ করে দূর থেকে দৌড়ে এসে ছবি তুলতে মানা করা সহ মারমূখী হয়ে ওঠেন, সঙ্গে তার ছেলে রনি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত) ও আরো ৪/৫ জন ছিলেন।
খাজনা আদায়কারী মনা রাজশাহীর সময় পত্রিকার প্রতিবেদককে জোর গলায় বলেন, আপনি যেই হোন না কেন, এখান থেকে চলে যান। আপনি কে যে এখানে ছবি তুলছেন কার অনুমতিতে নিয়ে এসেছেন? অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মনিরের অনুমতি নিয়ে হটে এলাকায় প্রবেশ করবেন, নইলে অসুবিধা আছে সহ নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শণ করেন।
এবিষয়ে জানতে শুক্রবার সন্ধা ৬ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিতো ঘটনা স্থলের পাশেই ছিলাম, বুঝতে তো পারিনি। আর এখন আমি ব্যস্ত আছি ভাই বলে লাইন কেটে দেন।
চোরাই ও অবৈধ মোবাইলের হাট বিষয়ে জানতে চাইলে, চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, এ ধরনের হাট আমার থানা এলাকায় থাকার কোন সুযোগ নেই। আপনি যখন বলছেন, তাহলে থানায় এসে প্রমান সহ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও দেখুন
সিংড়ায় কৃষি উপকরণ বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া ,,,,,,,,,,,নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে …