নিউজ ডেস্কঃ
সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ছাপাক’ মুক্তি পাওয়ার পর তার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কিন্তু ‘মাস্তানি’খ্যাত অভিনেত্রী দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে তার বিরুদ্ধ সুরে কথা বলছেন ‘কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী।
জেএনইউতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে ১০ জানুয়ারি তাদের প্রতি সংহতি জানাতে সেখানকার কর্মসূচিতে যান দীপিকা। ওই হামলার পেছনে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের জোট শরিক কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল আরএসএস-এর ছাত্র শাখা এবিভিপিকে অভিযুক্ত করা হয়।
এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, জেএনইউতে দীপিকার যাওয়া একেবারেই ওর গণতান্ত্রিক অধিকার। ও খুব ভাল করেই জানে, কী করছে, কেন করছে। সে বিষয়ে আমার কোনো মতামত থাকা উচিত নয়। আমি ওকে বলতেও পারি না, ওর কী করা উচিত আর কী করা উচিৎ নয়।
তিনি নিজে জেএনইউতে যেতেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে কঙ্গনা বলেন, আমি অবশ্যই যেতাম না। যারা দেশভাগ করতে চায়, তাদের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি নেই। জওয়ান মারা গেলে যারা উৎসব করে, তাদের কখনোই আমি ক্ষমতায় আনতে চাই না।
বলিউড পাড়ার একাংশের মতে, কঙ্গনা আসলে বিজেপির সুরে কথা বলছেন। গেরুয়া শিবিরই এতদিন দাবি করে আসছে, সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি হামলায় কোনো জওয়া মারা গেলে তা ‘উদযাপন’ করে জেএনইউসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। সেই সুরই উঠলো কঙ্গনার গলায়।
কঙ্গনা যদিও দীপিকাকে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে ‘মাস্তানি’ সেই কর্মসূচিতে যাওয়ার পর এটিকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ‘আই সাপোর্ট দীপিকা’ পোস্ট করে তার পক্ষ নেয়। আবার অনেকে ‘বয়কট ছাপাক’ পোস্ট করে তার সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমা বর্জনের ঘোষণা দেয়।
তবে ‘ছাপাক’র ওপর সেই প্রভাব তেমনটা না পড়লেও আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে দীপিকা প্রশংসা কুড়িয়েছেন নাগরিক সমাজের।