নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বেডে এক নারী উসকোখুসকো হয়ে শুয়ে আছে। তার পাশেই দেখা যাচ্ছে একটি ফুটফুটে নবজাতক। নবজাতকের দিকে মায়াবি চোখে তাকিয়ে রয়েছে ওই নবজাতকের মা। আর ইতিবাচক নানান ফন্দি ফিকির করে নবজাতকটার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। হাসপাতালের অন্য বেডগুলোতে রয়েছে রোগী ও স্বজনরা তারও যেন সেই নবজাতকটি ও তার মায়ের দিকে ফেলফেলিয়ে তাকিয়ে দেখছে। বাচ্চারটির সুন্দর প্রকাশও করতে ভুলেননি তারাও। তবে পাগলিটা মা হলেন, আফসোস বাচ্চাটার বাবা কেউ হলেন না। এ চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা বাজারের একটি মুদি দোকানের সামনে পাগলিটার প্রসব বেদনা উঠে। এমন সময় পুলিশ দেখতে পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্ত করলে সে পাগলি মা কন্যা সন্তান জন্ম দেন। বর্তমানে মা মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।
হাসপাতালে থাকা রোগী ও স্বজনরা জানান, পুলিশের এ ধরনের কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে ধন্যবাদ জানান। সেই এ পাগলি মা যেন তার সন্তানকে বাবার পরিচয় দিতে পারে এমন ব্যবস্থা করবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এ ধরনের কৃ-কর্মকারীদের আইনের আওতায় আনারও দাবি সচেতন মহলের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমনুরা বাজারের একটি মুদি দোকানের সামনে পরিচয় না জানা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে পুলিশ দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে পাগলি নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন।ওই নারী জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৩নং বেডে অবস্থান করছে। পুলিশ ওই নারীকে সার্বিক সহযোগিতা ও নবজাতকের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক প্রদান করা হয়। তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের বলে ওই পাগলি মা ও সন্তানের একটি জায়গার ব্যবস্থা করা হবে।