নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইসলামপুরে বিএনপি নেতা খাইরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ৬ বছর পর মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৩৪ জন আ.লীগ নেতাকর্মীকে আসামী করে এই মামলার আবেদন করা হয়। মামলার বাদী নিহত বিএনপি নেতা খাইরুল ইসলামের ছেলে মো. ফাহাদ আলী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত খাইরুল ইসলাম সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই সকালে স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীরা খাইরুল ইসলামকে ইসলামপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর নিমগাছি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন পাশের গ্রাম মোড়লাইন থেকে গাছে বাঁধা অবস্থায় তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল মরদেহে।
থানা ও আদালতে মামলার জন্য গেলেও আ.লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকিতে মামলা করতে না পারার কথা জানান পরিবারের সদস্যরা। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বরজাহানকে। অন্যান্য আসামীরা হলেন, স্থানীয় আ.লীগ নেতা তুফানী মেম্বার, মো. বাবু, মো. আনারুল, শাহালাল, এহেসান আলী, হুমায়ন আলী, জিয়াউর রহমান তোতাসহ ৩৪ জন আ.লীগের নেতাকর্মী।
মামলার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাকারিয়া বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।