নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাবু হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৮ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত আলী আসামীদের উপস্থিতে এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মাচ বাড়ি থেকে রাত ৯টার দিকে চা খাওয়ার জন্য রাকিব ওরফে বাবু পাশ্ববর্তী মহেষপুর বাজারে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে মহানন্দা নদীতে জেলেদের জালে বাবুর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই দিন ৩০ মার্চ ২০১৫ শিবগঞ্জ থানায় বাবুর পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল করিম আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এই মামলার চার্জশীট দাখিল করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে মামলার রায় দেন আদালত।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসাীমারা হলো শিবগঞ্জ উপজেলার পরানপুর গ্রামের মৃত মেহশাদ ছেলে মেহেরাব হোসেন বাচ্চু (৩৯), মহেষপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন (৪২), ছোট মহেষপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে হয়রত আলী (৪২)।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলো পরানপুর গ্রামের মৃত বাবুর স্ত্রী সায়েরা খাতুন (৩৪), ছোট মহেষপুর গ্রামের মৃত রবুর ছেলে আসলাম (৪৬), একই গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে মহবুল (৪৯) ও বলিহারপুর গ্রামের মংলুর ছেলে মিটুল (৩০)।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলো, নাসির, আকবর, নাজিম, তরিকুল, বাইরুল, সেতাবুর, এনামুল এবং খালেক।
তবে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা জানান, ‘এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে রাকিব ওরফে বাবুর স্ত্রী সায়েরার পরকীয়ার জের ধরে। প্রধান আসামী মেহেরাব হোসেন ও অন্যান্য আসামীরা পরিকল্পিতভাবে বাবুকে পিকনিকের নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটায়। পরে তার মরদেহ মহানন্দা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ প্রমানাদি শেষে বিজ্ঞ আদালত ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেয়।
এছাড়া ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে একলাখ টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। মামলায় মোট আসামী ছিলো ১৫ জন।