নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিউমার্কেট মাছ বাজারে বিক্রি করার সময় বিএনপি কর্মী দাবিদার আসমাউল ও কামাল নামের ২ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে ঝিলিম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলামের জিম্মায় আসমাউল ও কামালকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিলিম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিউমার্কেট মাছবাজার এলাকায়। জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ভোররাতে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকায় জনৈক ধুলুর পুকুর থেকে আতাহার এলাকার আসমাউল,কামাল, তুহিন, কাদের, আঙ্গুর, সুমনসহ ৮জন প্রায় ৮ মণ মাছ পুকুর থেকে চুরি করে মারে। পরে আসাউল ও কামাল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মাছ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিউমার্কেট মাছ বাজারে বিক্রি করতে আসে। পুকুর মালিক ধুলু সকালে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে মাছ চুরির বিষয়টি টের পেয়ে সাথে সাথে নিউমার্কেট মাছ বাজারে আসে এবং চুরিকৃত মাছ ৭ হাজার টাকায় বিক্রির সময় কামাল ও আসমাউলকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে। পরে তারা মাছ চুরির কথা স্বীকার করে জানান, এঘটনায় আতাহার এলাকার ৮ জন জড়িত রয়েছে। পরে তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঝিলিম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, তার জিম্মায় দেয়া মাছ চোরদের স্থানীয়ভাবে বিচার করা হবে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মাছ চুরির সাথে জড়িতরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এবং তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষজন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওবায়েদ পাঠান বলেন, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অনৈতিক কর্মাকান্ড করার সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি এরকম কাজ করে থাকে তাহলে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া বলেন, তাদের আমি বা দলের কেউ চিনেনা। কেউ বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও চাদাবাজি করে তাহলে দল দায়ভার নিবে না। কোন নেতাকর্মী যদি অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।