নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনমজুর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দিন নসু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নগদ একলক্ষ টাকা, পরিবারের সকলের পোশাক, ফলমুলসহ একটি বাড়ি পেলেন। প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হাফিজ এগুলো নসুর হাতে তুলে দেন। আর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নামও উঠানোর আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নসিমুদ্দীন নসুর নিজে বাড়ি জেলা প্রশাসক দিয়ে আসেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বাগামারা গ্রামের দিনমজুর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দীন নসুর কয়েকদিন আগেই চোখে-মুখে হতাশার চিহ্ন দেখা গেছে। কিন্তু আজ তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নগদ একলক্ষ টাকা, পরিবারের সকলের পোশাক, ফলমুলসহ বাড়ি পাওয়ায় আনন্দ চোখে-মুখে। এ যেন সপ্তম আচার্যের এক আচার্য। রণাঙ্গনের সাহসী যোদ্দা কখনই ভাবেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও তার দায়িত্ব নিবেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে যুদ্ধ করলেও এখন পাননি মুক্তিযোদ্ধার পরিচায়টাও। ঘুরেছেন বিভিন্ন দারে দারে। হতাশ হয়ে মাটি কেটে ও ভিক্ষা করে ৩ ছেলে মেয়ের সংসার চালাতেন তিনি। গেল কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের মাধ্যমে নগদ একলক্ষ টাকা, পরিবারের সকলের পোশাক ও ফলমূল তুলে দেন তার হাতে এবং বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। বিজয়ের মাসে এগুলো পেয়ে খুশি মুক্তিযোদ্ধা নসুমুদ্দীন নসু ও তার স্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দীন নসু জানান, আমি খুশি, আমি খুব আনন্দিত শেখের বেটি আমাকে শেষ বয়সে সম্মান দেবার জন্য। এখন সত্যই জয় হয়ে থাকে। আমি যুদ্ধ করলেও মুক্তিযোদ্ধার পরিচায় কপালে জোটেনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে। কোন দিন পাইনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও। কোন কিছু না পেয়েই মাটি কাটা ও ভিক্ষাবৃত্তি করেই সংসার চালাচ্ছি। আজ আমি ভাল হয়ে গেছি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও দায়িত্বের জন্য।
নসিমুদ্দীনের স্ত্রী জানান, আগে আমার স্বামী ভিক্ষা করে কষ্ট করেই সংসার চালান। যেভাবেই শেখ হাসিনা দেখে আমার স্বামীর দায়িত্ব নিয়েছে আমাকে ভাল লাগছে। এতদিন কেউ দেখ আমার স্বামীকে দেখেনি এত কষ্টের মাঝেও।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ অসহায় মুক্তিযোদ্ধা নসুর পাশের দাড়িয়ে আবার প্রমাণ করলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কখনই অসহায় থাকবেন। এতে সর্বস্তরের মানুষ উপহারে খুশি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, প্রমানমন্ত্রী বার্তা ছিলো দেশের কোথাও কোন বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা অসহায় থাকবেন না। আর নসমুদ্দীনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে আমার মাধ্যমে নগদ একলক্ষ টাকা, পরিবারের সকলের পোশাক ও ফলমূল তুলে দেয়া হয় তার হাতে। আর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে বাড়ি তৈরি ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নামও উঠানোর আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
নসিমুদ্দীন নসুর মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসুস্থ-অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে প্রধানমুন্ত্রী থাকবেন এমনটাই দাবি জেলাবাসীর।