নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়াকফ এস্টেটের ১৫৬ একর আয়তনের কুমিরাদহ বিল জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার দুপুরে চৌধুরী ইসমাইল সাজ্জাদ জোহাদ ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শিবগঞ্জের মনাকষা এলাকায় ওয়াকফ এস্টেটের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চৌধুরী ইসমাইল সাজ্জাদ জোহাদ ওয়াকফ এস্টেটের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন আলফাজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। ওই সময় তিনি মোতাওয়াল্লির স্বাক্ষর নেয়া স্ট্যাম্প ও চেকের মাধ্যমে জালিয়াতি করে কুমিরাদহ বিলের ভুয়া লীজনামা তৈরী করেন। এ নিয়ে ওয়াকফ এস্টেটের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন আলফাজ উদ্দীন। তিনটি মামলাতেই এস্টেটের পক্ষে রায় দেন আদালত। কিন্তু রায় অমান্য করে এখনো বিল দল করে মাছ ধরা ও এস্টেটের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে আলফাজ ও তার সহযোগিরা।
সংবাদ সম্মেলনে এস্টেটের কর্মীদের নিরাপত্তা ও সম্পদ রক্ষার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন চৌধুরী ইসমাইল সাজ্জাদ জোহাদ ওয়াকফ এস্টেটের ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নজিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাজিমসহ অন্যরা।
তবে আলফাজ উদ্দিন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আদালতের রায়ের বিষয়ে জেনেছেন। তবে আদালত থেকে কোন ধরনের নির্দেশনা দেয়নি। আর আলফাজ উদ্দীনকে আদালতের রায় নিয়ে বিলে যেতে বলা হয়।