নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বিয়ের প্রলোভন দেখিযে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করে বিয়ের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী ডিভোর্সী নারী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সালমা খাতুন নামের একটি নারী উদ্যোক্তা বিয়ের দাবিতে সাংবাদকি সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ২০২০ সালের শেষ দিকে আত্নীয়ের মামলার বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় ততকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা সাথে পরিচয় হয়। মামলার সূত্রে থানা আসা যাওয়ার ফলে ওসির সাথে পরিচয়টা আন্তরিকতায় রুপ নেই। যা পরবর্তীতে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একাধিকবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের আমবাগানে প্রেমের আলাপ হতো এবং একটি ভাড়া বাড়িতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওসি সেলিম রেজা। এখানেই শেষ না সে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার রাত্রী যাপন করেছেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি ওসির স্ত্রী জেনে গেলে ওসি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নাচোল থানা থেকে ভোলাহাট থানা বদল হওয়ার পরেও আবার ওসির সাথে সম্পর্ক হয়।
ডিভোর্সী নারী বলেন, সম্পর্কের প্রথম দিকে ওসি জানান তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন এবং আমাকে বিয়ে করতে চান। একারণে ওসি সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে পরে জানা যায় তার স্ত্রীকে ডিভোরস দেয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৬ ও ২২ ফেব্রুয়ারী বিয়ের দাবিতে চাঁপাইনবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানা অনশন করলে ওসি সেলিম রেজার গাড়ির ড্রাইভার ও অন্যান্যে পুলিশ সদস্যরা শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। মিথ্যা মামলা ৫৪ ধারায় জেলহাজতে পাঠালে ৭ দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসি। বিয়ে করে সম্মানের সাথে বাচতে চান ভুক্তভোগী নারী।
এদিকে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনটি রিসিভ করেননি।
আর অতিরিক্ত পুলিশ আবুল কালাম সাহিদ জানান, একটি ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে ভোলাহাট থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। পরকিয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এধরনের কোন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এর আগেই এ নারী অনেকের নামে অভিযোগ করেছে। প্রত্যাহাওে বিষয়টি জানতে চাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ব্যর্থতার অভাব ও কাজের অপারগোতার কারণে তাকে ভোলাহাট থানা থেকে বদলি করা হয়।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর তদন্ত করবে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। ভোলাহাট থানা থেকে চট্ট্গ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।