নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মাসুদ পারভেজকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাতলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে তত্ত্বাবধায়কের অফিস রুমে এ ঘটনা ঘটে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মাসুদ পারভেজ জানান, গত কয়েকদিন আগে একটি ছেলে ফ্রিতে ডোপটেষ্টের জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে আসে। পরে ছাত্রলীগের একজন নেতা আবারো ফোন দেয় আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে। পরে আমাকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান ছাত্রলীগের একটি ছেলে কথা। কিন্তু হাসপাতালে ফ্রিতে ডোপটেষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। ফ্রিতে করাও যাবে না। তাকে যেকোনভাবে ব্যবস্থা করে ডোপটেষ্ট করাতে হবে। তত্ত্বাবায়ক আরো জানান, ডোপটেষ্ট টি যদি ফ্রিতে করা হয় তাহলে অনেকেই ফ্রিতে ডোপটেষ্ট করাতে আসতে পারে। এজন্য ফ্রি ডোপটেষ্ট করা যাবেনা সাব জানিয়ে দেয়া হয় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুরুন্নাহার নাসুকে। এ ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আবারো নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আনোয়ার হোসেন ও সোহেল রানা অফিসকক্ষে প্রবেশ করে ডোপটেষ্ট ফ্রি করতে চাই। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় কথা ও উচ্চ স্বরে গালি-গালাজ করে এবং মার মুখি আচারণের সাথে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়। সেসাথে সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। রীতিমত লাঞ্চিত ও অপমানিত করে যায় সে।
এঘটনায় নিজের ও সরকারী অফিসের নিরাপত্তার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের করার জন্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান আনন্দ জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে রাজনৈতিক সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটা সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য ফ্রিতে ডোপটেষ্ট করার জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে রুমে যায়। সেই শিক্ষার্থীর বিষয়ে সুপারিশ করাতে তত্ত্বাবধায়ক খারাপ আচারণ করে। এর প্রতিবাদে তার সাথে কথাকাটাকাটি হয়।
নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, লাঞ্চিত ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন ডাঃ মাসুদ পারভেজ। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।