নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরায় দূর্বৃত্তদের হাতে নিহত আ.লীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবির ভাই বাদশাকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার রাতে আমনুরা এলাকা থেকে পুলিশ পরিচয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আমনুরা ফাড়িতে। এব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বার বার জিজ্ঞাসা করলে এ বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানানো হয়। এতে বাদশার পরিবার ভয় ও আতংকের মধ্যে রয়েছে।
অপহৃত বাদশার স্ত্রী মোসাঃ ঝর্না বেগম জানান, তার স্বামী বাদশাকে গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমনুরা রেলক্রসিংয়ের কাছ থেকে সাদা পোশাকধারীসহ পুলিশের পোশাক পরিহিত ৭/৮জন ব্যক্তি জোরপূর্বক ধরে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে আমনুরা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
এসময় বাদশার সাথে থাকা তার বন্ধু সুজন আলীকেও আমনুরা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রায় ২০মিনিট আটকিয়ে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাদশাকে আটকে রাখা হয়। ওই সময় আমনুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ আবু আহসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন। পরে বাদশাকে মাইক্রেবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে আমনুরা ফাঁড়ি, সদর মডেল থানা ও ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেও বাদশার আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মিন্টু রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় গিয়েও ওসি (অপারেশন) মিন্টু রহমান পাওয়া যায়নি এবং বেশ কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে আমনুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জএসআই মোঃ আবু আহসান রাসেলকে সদর থানায় পাওয়া গেলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি না হয়ে আসছি বলে গণমাধ্যমকর্মীদের থানায় বসিয়ে রেখে সটকে পড়েন। এঘটনায় সদর মডেল থানায় জিডি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বাদশার পরিবার। পরিবারের দাবি পুুলিশ হত্যা মামলাটি ধামাচাপা দেবার জন্য বাদশাকে অপহরণ করেছে। আর বাদশাকে ফাসানো জন্য এ পরিকল্পনা পুলিশের।
উল্লেখ্য, গত ৫ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আমনুরা-বাইপাস এলাকায় ঝিলিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি (৩৯) কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় পরেরদিন নিহত রবিউল ইসলামের ছেলে মোঃ ফয়সাল আলী রিয়াদ বাদি হয়ে ১৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা দর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মিন্টু রহমান ৭জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। এদের মধ্যে দুইজন কারাগারে রয়েছেন, একজন স্থানীয় আদালত থেকে জামিনে আছে এবং ৪জন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে মামলার অধিকাংশ আসামী ধরা না পড়লেও আসামীদের না ধরে উল্টো তার পরিবারকে এই মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / চাঁপাইনবাবগঞ্জ / চাঁপাইনবাবগঞ্জের আ.লীগ নেতার ভাইকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের অভিযোগ
আরও দেখুন
সভাপতি আব্দুল আলীম,সম্পাদক ফারুক হোসেন
রাণীনগরে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,,,,,,জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের নওগাঁর রাণীনগর …