শনিবার , সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / চাঁদা না পেয়ে সিএইচসিপিকে দফায় দফায় মারপিট বড়াইগ্রামে ছয় মাস যাবৎ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ

চাঁদা না পেয়ে সিএইচসিপিকে দফায় দফায় মারপিট বড়াইগ্রামে ছয় মাস যাবৎ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম ,
বড়াইগ্রামের মৃধাকচুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কে একাধিকবার মারপিট করে তালা মেরে দেয়ায় গত সাড়ে ছয় মাস ধরে ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে। এতে এলাকার গর্ভবতী মা ও শিশুসহ দরিদ্র শ্রেণীর লোকেরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি মেহেদী হাসানের কাছে চাঁদা দাবী করেন। কিন্তু তাতে রাজী না হওয়ায় তিনি লোকজনসহ মেহেদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ক্লিনিক থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা দিয়ে দেন। পরে মেহেদী চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকির মুখে তিনি ক্লিনিকে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু লোকের মধ্যস্থতায় গত ৪ অক্টোবর ক্লিনিক খোলা হয়। কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর লুৎফর রহমান লোকজনসহ পুনরায় ক্লিনিকে ঢুকে মামলা তুলে না নেয়ায় মেহেদীকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এভাবে টানা প্রায় সাড়ে ছয় মাস যাবৎ ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় এলাকার হতদরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় ওষুধ নিতে ক্লিনিকে আসা বয়োবৃদ্ধ আয়েশা বেগম বলেন, এলাকায় এটি ছাড়া কোনো সরকারী বা বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। অর্থাভাবের পাশাপাশি এলাকার অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে ইচ্ছা করলেই দুরে গিয়েও চিকিৎসা নিতে পারি না। ক্লিনিকটি খুলবে ভেবে প্রতিদিনই আসি, কিন্তু বন্ধ থাকায় ওষুধ পাচ্ছি না। এমন হলে আমরা গরীবরা কোথায় যাবো।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি মেহেদী হাসান বলেন, একটি মহল আমার কাছে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবী করছে। আমি তাতে সাড়া না দেয়ায় বারবার পিটিয়ে আহত করে ক্লিনিক বন্ধ করে দিচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও আমাকে যারা বারবার এমন অপদস্ত করছে তাদের বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি চাঁদা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেহেদী নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিক খুলে না। তাই তাকে কিছুটা শাসন করা হয়েছে। আর ক্লিনিক কেন বন্ধ সেটা আমি জানি না। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ রায় বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও দেখুন

সিংড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া: নাটোরের সিংড়ায় এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশি যুবক রবিউল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *