নদীতে যখন ইলিশ থাকে না তখন বাজারে বিক্রি করা হয় নোনা ইলিশ। দেশের উত্তর বঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা থাকায় চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন, করছেন কোটি টাকার বাণিজ্য।
সরেজমিনে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি ধাপে লবণ দিয়ে ইলিশ সংরক্ষণ করছেন নোনা ইলিশের ব্যবসায়ীরা। প্রথমেই ইলিশের পেট থেকে তারা ডিম আলাদা করে ফেলছেন। এরপর আস্ত ইলিশ মাছটি ফালি ফালি করে কেটে পরবর্তীতে ভালোভাবে লবণ দিচ্ছেন। লবণ দেয়া অবস্থায় স্তূপাকারে এসব মাছ ৬-৭ দিন রাখার পর পরবর্তীসময়ে তা লবণমিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করছেন। এভাবে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাকৃত ইলিশ এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় বলে ব্যবসায়ীয়া এই প্রতিবেদককে জানান।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত বলেন, ইলিশের মৌসুমে চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতি দিন হাজার হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়। এ সময় অনেক মাছ বিভিন্ন কারণে নরম হয়ে যায়। যা এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে থাকেন। শীতের সময় চাঁদপুর, ঢাকা, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, পাবনা, কিশোরগঞ্জসহ দেশের উত্তরবঙ্গে এই নোনা ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তখন নোনা ইলিশ কেজিপ্রতি প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, লবণ দিয়ে ইলিশ সংরক্ষণ করা একটি স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি। এতে করে মাছ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। চাহিদা ভালো থাকায় চাঁদপুরে নোনা ইলিশের শিল্প গড়ে উঠছে।