নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলনবিলে হাঁস পালনে সাবলম্বী হয়েছে শতাধিক পরিবার। এসব পরিবার বছরের পুরোটা সময় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মূলত হাঁস পালনে ডিম বিক্রি করেই সংসারের অভাব অনটন মেটায় ঐ পরিবারগুলো। তা ছাড়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও যোগান দেয়া হয়। চলনবিলের সিংড়া উপজেলার শতাধিক পরিবারের উপার্জন হাস পালনে। সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার নিজ উদ্দেগে হাঁস পালন করে আসছেন। এরমধ্যে ডাহিয়া, আয়েশ, বিয়াশ,বলিয়াবাড়ী, কালিনগর,কৃষ্ণনগর, আনন্দনগর, সাতপুকুরিয়া, হিজলী, কান্তনগর গ্রামের অনেক পরিবার ভ্রাম্যমান হাস পালন করে সংসার চালাচ্ছেন। সরকারি কোন সহযোগিতা ছাড়াই এসব পরিবার সাবলম্বী হয়ে উঠছে। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো অনেকেই হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে জানান তারা।
কালিনগর গ্রামের মন্টু আলী বলেন, সমিতি থেকে লোন নিয়ে হাঁস পালন করছি। কিন্ত সরকারিভাবে কোন লোন পাইনি। একটি বাড়ি একটি খামারের উপকারভোগীরা সরকারিভাবে সহয়োগিতা পেলেও তারা টাকা কাজে লাগান না বলে অভিযোগ করেন। মন্টু আলী আরও জানান, সে হাঁস পালনে সংসার চালান। তার গত বছর কলেরা রোগে ২০০টি’র মত হাঁস মরে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। তবে বর্তমানে নতুন ৭০০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেছেন। ডিম বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নিয়েছে।
কৃষ্ণনগর গ্রামের সাদ্দম হোসেন জানান, ১০ বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। বর্তমানে ১হাজার টি হাঁস রয়েছে। হাঁস পালন করে জীবিকা র্নিবাহ করছি। কালিনগর গ্রামের রমিজুল করিম বলেন, প্রায় ২০বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। এটি অনেক লাভ জনক। ৪০০টি হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন ২৫০/৩০০টি ডিম বিক্রি করা হয়। ডিম ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
রমিজুল করিম আরো জানান, সারা বছর হাঁস পালন করেন। হাঁসের খাবার মেটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে খামার স্থাপন করেন। প্রকৃতিকভাবে খাবার মেটানো খরচ কম হয়। শুধু পরিশ্রম বেশি হয়, তবে লাভ বেশি হচ্ছে। কথা হয় কয়েকজন ডিমের আড়ৎদারের সাথে। তারা জানান, প্রতিদিন তারা কয়েক হাজার ডিম কিনে নেন এবং তা বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। ডিম বিক্রি করে সংসারের প্রয়োজন মেটান অনেকে।