নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমায় গড়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান চলনবিলের তরুনদের ফ্রিল্যান্সার তৈরির অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ আবু হেনা মোস্তফা জামান রনি। অনলাইনে কাজ করে এখন তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সার এবং সফল উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা এবং সফল ফ্রিল্যান্সার আবু হেনা মোস্তফা জামান রনি বলেন, ২০১২-২০১৩ সালে যখন প্রথম আমাদের উপজেলা পর্যায়ে ব্রডব্যন্ড সংযোগ আসে তখন থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু। স্বল্প কিছু জনবল নিয়ে আমরা যখন কাজ শুরু করি তখন আমাদের উপজেলা পর্যায়ের সাধারন জনগন “ফ্রিল্যান্সিং” পরিভাষাটির সাথেও পরিচিত ছিলো না। প্রচলিত চাকরি আহরন সংগ্রামে ভুক্তভোগী গ্র্যাজুয়েট থেকে শুরু করে স্বল্প শিক্ষিত এমনকি নিম্নবিত্ত দিনমজুর শ্রেনীর তরুনদেরও আমরা হাতে কলমে কম্পিউটার প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা করি এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানেই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে অনেকেই সময়ের সাথে সাথে দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নিজ নিজ উদ্যোগে আইটি সেক্টরের বিভিন্ন খাতে তাদের অবস্থান মজবুত করতে সফল হয়। এরই সুবাদে আমরা শহর, উপশহর এমনকি গ্রাম পর্যায়ে সাধারন জনগনদের মাঝে তথ্য ও প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার এর শিক্ষা প্রদান করতে থাকি।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেটে বাস-ট্রেন এর টিকিট ক্রয়ের মতো সাধারন বিষয় থেকে শুরু করে মোবাইল/ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-পর্চা, ই-পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিল এবং সরকারি সকল ই-সেবামূলক সার্ভিসগুলো ব্যবহার করে সময় ও কষ্ট লাঘব করার মাধ্যমে যে জীবন ব্যবস্থার মান উন্নয়ন সম্ভব তা আমরা সাধারন জনগনদের পৌছিয়ে দেই আমাদের মাঠ পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সার এসোসিয়েশনগুলোর মাধ্যমে। সর্বোপরি আমরা আমাদের আইটি সেক্টরকে এবং টেকসই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গঠনকে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষমাত্রায় কাজ করে যাচ্ছি। “
নাটোরের সিংড়ার আবু হেনা মোস্তফা জামান রনি ২০০৮ সালে বন্ধুদের সাথে ঢাকায় গুগল এ্যাডসেন্স কাজ শুরু করেন। তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তখন সে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর শিক্ষার্থী।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সাল থেকে এলাকায় তরুনদের ফ্রিল্যান্সার তৈরির কাজ শুরু করেন। কয়েকটি টিম গঠন করে দিনরাত পরিশ্রম করে এ প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে তরুনরা।
২০১৩ সালে নিজ জেলা নাটোরে বৃহৎ আকারে শুরু করেন বাজান বাইট লিমিটেড। সেখানে যুক্ত হয়ে বেকারত্ব দুর করার জন্য তরুনদের প্লাটফর্ম গড়ে তুলেন। সেখানে শতাধিক তরুনদের ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেন তিনি।
বেকারত্ব দুর করার জন্য, পড়ালেখার খরচ জোগানো সহ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং সৎ পথে উপার্জন করার অন্যতম মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। শিক্ষার পাশাপাশি তরুনদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য নিজ এলাকায় গড়ে তোলেন জামান আইটি অপিসি (১ পার্সোন কোম্পানি) । তারই হাত ধরে নিঠু, শাফি ইসলাম সোহাগ, আলমগীর, রানা, রাজিব সহ আরো অনেক সফলতার গল্পে আজ প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা