নিউজ ডেস্ক:
বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে মাঠে নামছে সাংগঠনিক টিম। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব-বিবাদ মিটিয়ে আবার সম্মেলন শুরু করার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ। চলতি মাসের যে-কোনও সময় সফরে বেরিয়ে পড়বে এসব টিম।
দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর শনিবার গণভবনে বসে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক। করোনার পর আবারো দলের কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের ৮ বিভাগের জন্য গঠন করা হয় ৮টি সাংগঠনিক টিম। একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে দুটি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়া টিমে রাখা হয়েছে, একজন করে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং দলের সদস্যদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, “এ টিমগুলোর মূল কার্যক্রমটা হলো- বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতে সাংগঠনিক অবস্থার সমৃদ্ধি কিভাবে করা যায়, কিভাবে সাংগঠকিক অবস্থাকে আরো গতিশীল করা যায় সেগুলো দেখভাল করা।”
এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা পড়েছে সম্মেলন হয়ে যাওয়া জেলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি। তবে এসব কমিটিকে ঘিরে অভিযোগ জমা পড়েছে আরো বেশি। এসব অভিযোগের নিষ্পত্তি করাও এসব সাংগঠনিক টিমের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে বলে জানান নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “সব অভিযোগ যে ঢালাওভাবে সত্য সেটি নয়। আবার অনেক অভিযোগ সত্য। সুতরাং এগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যারা ত্যাগী নেতাকর্মী তাদের কমিটিতে স্থান করে দেয়া- এই সাংগঠনিক টিমগুলোর অন্যতম প্রধান কাজ।”
ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আবারো ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু করতেও তৎপরতা চালানো হবে বলে জানান এ নেতা।
সূত্র: ডিবিসি