চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বড় ধরনের কাঠামোগত সংস্কার টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের সহায়ক হবে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে সংস্থাটির ঢাকা অফিসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিত্যপণ্যের উচ্চ দামের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বলছে, ডলারের একক ভাসমান বিনিময় মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন। ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তারল্য সংকট এবং বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ।
বিশ্বব্যাংক মনে করছে, করেনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। একক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নাড হাভেন বলেন, রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সহযোগিতা করবে। এজন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। সমন্বিত সংস্কার উদ্যোগ আঞ্চলিক পর্যায়ে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে।