রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর নিয়মিত ব্যবহারে আগ্রহী ভারত

চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর নিয়মিত ব্যবহারে আগ্রহী ভারত

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় পণ্য নিয়মিত পরিবহন করতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইছে ভারত। এ জন্য দেশটি যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের এ দুটি বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করার জন্য চলতি বছরের আগস্টে পরীক্ষামূলকভাবে (ট্রায়াল রান) চারটি পণ্যবাহী জাহাজ চালায় ভারত। জাহাজগুলো পণ্য নিয়ে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে সফলভাবে পৌঁছানোর পর দেশটি এখন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর নিয়মিত ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করতে চাইছে। এ জন্য সম্প্রতি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত নৌরুটে পরীক্ষামূলক চারটি জাহাজ চলাচল (ট্রায়াল রান) এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের চুক্তি কার্যকর করতে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চালানোর প্রয়োজনীয়তা ছিল। ভারতীয় হাইকমিশন নিয়মিত পণ্য পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখন একটি প্রজ্ঞাপন    অথবা কাস্টমস বিজ্ঞপ্তি জারি করে চুক্তিটি দ্রুত কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানাচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়। এ চুক্তির অধীনে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চালানো হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যেখানে লোহার রড এবং ডালবোঝাই চারটি কনটেইনার কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ত্রিপুরা ও আসামে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারত এখন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের নিয়মিত ব্যবহার শুরু করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। কারণ কলকাতা থেকে উত্তরে গুয়াহাটি হয়ে আগরতলা যেতে ভারতীয় যানবাহনগুলোকে ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। এখন ভারত যদি চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করে, তবে দূরত্ব কয়েক শ কিলোমিটার কমে প্রয়োজনীয় সময় এবং পরিবহন খরচ কমে আসবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহনসংক্রান্ত চুক্তি পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে ভারতের আগ্রহের এটিই প্রধান কারণ।

সূত্র আরও জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তির ফলে ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপথে উত্তর-পূর্বে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে এবং মালামাল পরিবহনে খরচ কমাতে সাহায্য করবে।

আরও দেখুন

তারেক রহমানের ইতিবাচক রাজনীতি আশার সঞ্চার করছে:দুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন,গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে তারেক …