প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভেদ করেই বাংলাদেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভেদ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি। আমি জানি, দেশের কিছু লোকের এটা পছন্দ হয় না। একটি চক্র আছে যারা নানাভাবে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করতে পারলেই বেশি খুশি হয়। পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্প বন্ধ করার জন্য যারা বিদেশে তদবির করে বিশ্বব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দেয়, তারা দেশের কত বড় শত্রু তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। এরা কখনো জনগণের স্বার্থ দেখে না, নিজের স্বার্থ দেখে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করব ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। বাংলাদেশ বিজয়ের পতাকা নিয়েই বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত
থাকলে অচিরেই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে
উঠবে। আমরা দারিদ্র্য ২১ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি, আরও কমাব। বাংলাদেশে
দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। আর চলমান দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে
অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস-মাদকের দুষ্টচক্র থেকে সমাজকে আমাদের রক্ষা
করতেই হবে। কোন দল করে আমরা দেখতে চাই না, অপরাধী অপরাধীই। কাউকে ছাড়
দিইনি।
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, বিশ্বের বহু দেশে পরমাণু
বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও তিন-চারটি পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাশিয়া নির্মাণ করছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নিরাপত্তার
বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, সব বর্জ্য রাশিয়াই নিয়ে যাবে। এটা নিয়ে চিন্তিত
হওয়ার কিছু নেই। তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছি। বিজ্ঞানী ও
প্রকৌশলীদের ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে আসছি। এক্সপার্ট আমরা তৈরি করছি। রূপপুরের
পর দক্ষিণে একটি দ্বীপ খুঁজছি, সেখানেও আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নির্মাণ করব।