নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহহীন মানুষদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের প্রথমধাপে জামালপুর, চুয়াডাঙ্গা, চাঁদপুর ও দিনাজপুরে ৭ হাজারের বেশি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হবে। ২০শে জানুয়ারি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই উপহার পেয়ে খুশি গৃহহীন পরিবারগুলো।
পাঁচবার মেঘনার ভাঙনের শিকার চাঁদপুর সদরের দেলোয়ার হোসেন সর্দারের ভাগ্যে মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দৃষ্টিনন্দন লাল-সবুজ রংয়ের ঘর।
নিজের ঘরকে এক পলক দেখতে চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। তারমতো গৃহহীন শতাধিক পরিবারও পাচ্ছে ঘর।
হস্তান্তরের সময় ঘনিয়ে আসায় ঘর নির্মাণকাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ বলেন, “যাদের ঘর নেই, তাদের জন্যই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
প্রধমধাপে চুয়াডাঙ্গার ১৩৪টি পরিবার পাচ্ছে মাথা গোজার ঠাঁই। পর্যায়ক্রমে ১ হাজার ১৩১ জন গৃহহীন পরিবারকে দেয়া হবে ঘর। যাচাই বাছাই শেষে গৃহহীনদের তালিকা করা হয়েছে; ঘর তৈরিতে অনিয়ম হলে ছাড় নয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, “৩৪ জনের কাছে সকল কাগজপত্রসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া যাদের জমি আছে ঘর নেই, তাদের জন্যও প্রকল্প শুরু হবে।”
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দিনাজপুরের জয়বাংলা পল্লির ঘর নির্মাণকাজ। বারান্দা, দুটি শোবার ঘর ও রান্নাঘরসহ বাড়ি বরাদ্দের খবরে খুশি পরিবারগুলো।
বুধবার বরাদ্দের সব ঘর হস্তান্তর সম্ভব না হলেও কমপক্ষে ৩ হাজার ঘর হস্তান্তর করা হবে। বাকি ঘর পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম।
সরকারের দেয়া নতুন ঘর পাওয়ার স্বপ্নে উচ্ছ্বসিত জামালপুরের ১ হাজার ৪৭৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। আর এমন স্বপ্ন বাস্তবের রূপ দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন।