নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর:
দিনাজপুর বিরামপুরের মানুষ ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শৈত্যপ্রবহে কাঁপছে। গ্রামের মানুষের প্রচলিত প্রবাদ মাঘের শীতে নাকি বাঘে খায়। যদিও মাঘ মাস এখনও আসেনি, পৌষের শীতেই এ অবস্থা এখন।
শেষ পৌষের শীতে কাবু বিরামপুর উপজেলার মানুষ। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে তাপমাত্রা। মৌসুমের শুরুতে তেমন শীত অনুভূত না হলেও গত কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও ছিন্নমূল পরিবারের মানুষজন।
অনেককে গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে কোনোমতে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। কয়েকদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। অসহনীয় শীতের কারণে শ্রম বিক্রি করতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না লোকজন। তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। শীতের কারণে শহরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
রাতে ও সকালে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখাযায় , হাসপাতালে শীতজনিত সর্দি-কাশি, হাঁপানি, পেটের পীড়া, কোল্ড ডায়রিয়া রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি।
গাড়িচালক সাকিব বলেন, ‘শীতের তীব্রতা খুব বেড়েছে। কুয়াশা থাকায় সড়কে সকালেও গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ফগ ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছি। কুয়াশার কারণে ধীরে চলাচল করতে গিয়ে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না।’ একই মন্তব্য করেছেন সিএনজি চালক মোহাম্মদ রহিম।
এসময় বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মোছাঃ তামান্না বলেন আমাদের সকালবেলা স্কুল প্রেইভেটে যেতে কষ্ট হচ্ছে এই প্রচন্ড শীতে৷ চাকরিজীবী সুমন বলেন সকাল আটটায় আমাদের অফিস টাইম হওয়ায় সকাল সকাল এই কুয়াশা ও প্রচন্ড শীতে অফিসে যেতে কষ্ট হচ্ছে৷