নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে জরায়ুর ক্যান্সার ও প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেতনতা বছরের পর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে । স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য শহুরে তথা গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা আগের চেয়ে বেশি উৎসাহী হয়ে উঠছে । রাজধানীতে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসি সভায় উঠে এসেছে জরায়ুর ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা ও প্রতিরোধ আলোচনা ।
স্বাস্থ্য পরিষেবার মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনার পরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন বন্ধুত্বের এই অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা বলেন, প্রান্তিক ও বাংলাদেশের এলাকায় পৌঁছানো মহিলারা জরায়ুর মত মারাত্মক সমস্যা লুকানোর চেষ্টা করছেন কুসংস্কার এবং সামাজিক কলঙ্ক এর কারণে ক্যান্সার ।
এই কঠিন এলাকায় কমিউনিটি নারীদের মাঝে সংবেদনশীলতা ও সচেতনতা বাড়ানোর পর, সরকার তথা বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য ও স্ত্রীরোগ সমস্যায় স্বাস্থ্য ক্লিনিকে পরিদর্শন করতে মহিলারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন এই কাজে কানাডিয়ান সহায়তা প্রতিষ্ঠান ‘গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ কানাডা ( জিসিসি )’ র সমর্থন ও সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধুত্ব ।
প্রফেসর ড. আশরাফুন-নেসা, গাইনিকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ এবং প্রকল্প পরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংখ্যা ভিত্তিক সার্ভিক্যাল ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির সঙ্গে ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিং, কর্তৃক আয়োজিত এই অ্যাডভোকেসিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরেছেন রাজধানীতে উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন ‘বন্ধুত্ব’ ড. নাহিদ নজরুল, সহকারী পরিচালক ও গুণগত উপদেষ্টা, মৈত্রী, বন্ধুত্ব, অ্যাডভোকেসি সভায় মৈত্রী হস্তক্ষেপ এলাকায় কার্যক্রম ও কৃতিত্ব বর্ণনা করেন ।
সম্প্রদায়কে সংবেদনশীল করতে 12 জেলা যেখানে 12 টি জেলায় দুঃসাহসী সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারণা শুরু করা হয় । অভিযানে অনুপ্রাণিত হয়ে বন্ধুত্বের চিকিৎসা সহকারীদের মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলের 15,000 জনেরও বেশি নারীকে এক বছরে জরায়ুর ক্যান্সার পরীক্ষা করা হয়েছে । প্রেক্যানসারিয়াস লেসিয়ন নির্ণয়কারী সুবিধাসমূহকে পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও বন্ধুত্বের চিকিৎসা সহায়কদের সমর্থন সহ উল্লেখ করা হয় ।
উপর উল্লিখিত প্রতিনিধি দল ছাড়াও বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় আলোচনাসভা ও মতবিনিময় করেন । সমগ্র আলোচনাটি মডারেট করেছেন ড. কাজী গোলাম রাসুল, সিনিয়র পরিচালক ও স্বাস্থ্য, বন্ধুত্ব প্রধান ।