নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে যাত্রী বেশে প্রাইভেট কার ছিনতাইকারী চক্রের ১ সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে একটি প্রাইভেট কারসহ চালককে। ছিনতাইয়ে বাধা পেলে চলন্ত গাড়ি থেকে হাত পা বেঁধে চালককে ফেলে দিতো এই চক্রের সদস্যরা। কিংবা শ্বাসরোধ করে চালকে হত্যাও করে গাড়ী ছিনতাই করে নিয়ে যায় এই চক্রের সদস্যরা।
ছিনতাইকারী চক্রের আটককৃত যুবক হলেন গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের বংপুর গ্রামের আজিমুল ইসলামের ছেলের নুর ইসলাম (২০)।
ঢাকা মিরপুর- ১০ ফায়ার সার্ভিস মোড়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওঁৎ পেতে থাকে তারা। পরে যাত্রীবেশে রাত ৯ দিকে টার্গেট করা গাড়িতে উঠে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকারটি কে নিয়ে আসে। পরে রবিবার দিবাগত রাতে সুবিধামতো স্থানে চালককে ফেলে দিয়ে গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যেত। অনেক সময় গাড়ি আটকে রেখে বিকাশের মাধ্যমে মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে এই চক্র। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে এসব কিছুই করতে পারেনি এই চক্রের সদস্যরা।প্রাইভেটকার চালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় নুর ইসলাম নামে একজন ফোন করে ১০ হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করে রাজশাহী যাওয়ার জন্য আমাকে ডাকে মিরপুর-১০ এলাকায়। কথা মোতাবেক রাত ৯ টার সময় তিনজন যাত্রীসহ রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করি।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে এসে গাড়ী ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে আমার হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এই সময় পুলিশের টহল গাড়ী এসে পড়লে আমি প্রাণে বেঁচে যায়।গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে টহলরত অবস্থায় ডিউটি অফিসার দেওপাড়া ইউনিয়নের বলিয়াডাইং এলাকায় রাস্তাতে একটি প্রাইভেট কার থেকে চিৎকার শুনে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ড্রাইভারকে উদ্ধার করে। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত যুবক স্বীকার করেছে তাদের অপরাধের কথা। ওসি আরোও জানান এই চক্রের বাকি দুই সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।