নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ীঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শেড ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিসেবা প্রকল্প এর নামে ভূয়া একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগের নামে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের নাগরিকরা আবেদন করে। এর সূত্র ধরে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক নারী-পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মী,স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের মাধ্যমে ট্রেনিং এর নামে অর্থ আদায় করার সময় হাতেনাতে আটক করে একজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৪ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার থেকে নিয়োগের পরীক্ষা অংশ গ্রহনকারিদের কাছ থেকে এনজিও’র গোদাগাড়ী শাখা ব্যবস্থাপক মনোয়ারুল ইসলাম নামে এক প্রতারক বিভিন্ন কায়দায় অর্থ আদায়। ও এ নিয়োগের খরর পেয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী অফিসার ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক গোদাগাড়ী অফিসে এসে ভুয়া এনজিও প্রতিষ্টানে কাগজপত্র অফিসের মালামালগুলো জব্দ করে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ প্রদান করেন পুলিশকে।
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া এনজিও প্রতিষ্টানে নিয়োগপত্রের যাবতীয় কাগজপত্রাদি, চেয়ার, টেবিলসহ মালামাল জব্দ করে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শেড ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিসেবা প্রকল্প এর নামে ভুয়া একটি এনজিও বিভিন্ন পদে চাকুরি দেয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করছে চক্র। শিক্ষিত বেকারদের কাছ থেকে দুই হাতে টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটি কৌশল।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার জন্য ৪০০ টাকা পরে তাদের এক মাসের ট্রেনিং দেয়া হয়। ট্রেনিং ফি হিসেবে ১ হাজার ৪ শত টাকা ও একালীন জামানত ৫ হাজার টাকা করে নেন এই প্রতারক চক্র।
আটককৃত ৬ মাসের সাজা প্রাপ্ত ব্যাক্তি হলেন শাখা ব্যবস্থাপক তানোর উপজেলার চন্দন কোঠা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মনোয়ারুল ইসলাম(৪০)। ২ হাজার করে যে ৪ জনকে জরিমানা করা হয় তারা হলেন গোগ্রাম ইউনিয়নের ইশ্বরীপুর গ্রামের মৃত জিমল হাসদার দুই মেয়ে জলিতা রানী(২৫) ও সুসমিতা হাসদা(২০), তানোর উপজেলার চন্দন কোঠা গ্রামের মোজাফর হোসেনের ছেলে খান আতাউর রহমান বাবু,উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মোন্তেজের ছেলে পল্লব (২০)।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন,ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার ফলে ঘটনার স্থলেই গোদাগাড়ী উপজেলার শতাধিক নারীপুরুষ প্রতারনা ফাদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন ৬ মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামীকে রবিবার জেল হাজতে পাঠানো হবে। আর অর্থদন্ড প্রাপ্তদের ২ হাজার করে ৮ হাজার টাকা জমা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।