নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে নন্দকঁজা নদীর দুইটি পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজ। সরকারী নিয়মনীতি না মেনেই দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নন্দকূজা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নাজিরপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর ডিপপাড়ের খাঁজা আলী ও কুমারখালীর আব্দুল রহিম নামের দুই ব্যক্তি। এতে নদীর দুই পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। যেভাবে নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে দুই পাড়ে গড়ে উঠা ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলীনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। নদীর উপর নির্মিত নাজিরপুর সেতুটিও হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানান, নাজিরপুর এলাকায় নন্দকুজাঁ নদীর দুইটি পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন কাজে বাধাঁ দিলে তারা আমাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং বলেন, সরকারী নিয়মনীতি মেনেই বালু উত্তোলন কাজ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও বন্ধের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নী স্থানীয় প্রশাসনের। তাই নদী হতে এভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নন্দকূজা নদীর নাজিরপুর পয়েন্টের আব্দুস সালাম হাজীর মিলের পাশে নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতদিন বালু তোলা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের পর পাইব দিয়ে রাস্তা উঁচু করে বিভিন্ন জায়গা তা বিক্রি করছেন। এতে করে বিভিন্ন সময়ে যানবাহন চালকরা দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন। বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার বেশ কিছু বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, সড়ক, মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনার পাশে ড্রেজার মেশিন বা অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ গুরুদাসপুরের নাজিরপুর পয়েন্টের সড়কের প্রায় ২’শ গজ পশ্চিমে নন্দকূজা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এবিষয়ে খাঁজা আলী বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই বালু তোলা হচ্ছে। ওই এলাকার কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করেই চলেছেন।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, আমার এলাকায় যে,নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজ চলছে এবিষয়ে আমি জানি না এবং কাজটি বন্ধের বিষয়েও পরিষদে এসে কেউ কোন অভিযোগ দেয় না। তিনি আরও বলেন, নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজ করছেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন মেঠোফোনে জানান, ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের নিয়ম নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও দেখুন
রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৫ভরি স্বর্ণের ও
১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,, নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথ …