নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে মির্জা মাহমুদ খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টারপ্রাইজ কোনো রকমের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই খাল খনন করছেন। মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জমি বাঁচাতে খালের দিকও পরিবর্তন করে ফেলছেন বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। কান্দাইল গ্রামের অধিবাসী ইবরাহিম শেখের পুত্র মিলন শেখ বলেন, নদীর জমি রেখে আমার ব্যক্তিগত জমি তারা কেটে ফেলেছে। আমি এর প্রতিবাদ করেও কোনো ফল পাইনি।
মোখিকভাবে কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা আমার কথা কর্ণপাত করেন নাই। তারা বলেছেন আপনার জমি কাটি নাই। অথচ সিএস থেকে শুরু করে সমস্ত রেকর্ডে আমাদের জমি আছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জমি মাপজোখ করে জমির সীমানা নির্ধারণ করি। কিন্তু তারা জোর করেই আমার জমি খালের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। আমি তদন্ত সাপেক্ষে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, খালের নিজস্ব নকশা বাদ দিয়ে তারা একটি পুকুর মালিকের পুকুর বাঁচাতে মনগড়াভাবে কাজ করছেন।
স্থানীয়রা সঠিকভাবে কাজ করতে বললে তারা জনগনকে হাইকোর্ট দেখিয়ে দিচ্ছেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম মাষ্টার বলেন, সরকার কৃষক বাচাও কর্মসূচির আওতায় সকল খাল পুনঃখনন করছেন। কিন্ত এই খাল অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কাটা হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই খালের সমস্ত মাটি ধসে পড়ে যাবে। তখন খাল খননের প্রকৃত সুবিধা থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হবে। ৬ নং চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বলেন, খালের ডিজাইন যেভাবে আছে সেভাবেই খাল খনন করতে হবে।
কারো ব্যক্তি স্বার্থে খালের দিক পরিবর্তন করা যাবে না। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচার এই খাল খনন করা হচ্ছে। কিন্তু দুইজন বিএনপি নেতার পুকুর বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা খালের দিকও পরিবর্তন করছেন। স্থানীয়রা এমন অভিযোগ করলে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। অবিলম্বে অনিয়ম বন্ধ করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খাল খনন করতে হবে। এ বিষয়ে বিএডিসি সহকারি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, মির্জা মাহমুদ খাল খননে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কাজ চলছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।