শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / কৃষি / গুরুদাসপুরে বোরো ধানের ফলন কম হওয়ায় দিশেহারা কৃষক

গুরুদাসপুরে বোরো ধানের ফলন কম হওয়ায় দিশেহারা কৃষক


নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
চলনবিল অধ্যষিত গুরুদাসপুর বাংলাদেশের অন্যতম একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। এই উপজেলার চলনবিল অধ্যষিত অঞ্চল জুড়ে বোরো আবাদ। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকুল থাকায় এবং পোকার আক্রমণ হওয়ায় ফলনও হয়েছে কম। প্রচন্ড খরাতাপ ও পোকার আক্রমণে অধিকাংশ জমির ধানে দেখা দিয়েছে চিটা। স্বস্তিতে নেই এখানকার কৃষক পরিবারগুলো। দূরচিন্তায় দিশেহারা এখানকার কৃষকরা। তারপরেও কৃষকরা অনেক কষ্টের ফলানো সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। খরতাপ ও পোকার আক্রমণ হলেও বেশি ফলনের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। সবুজ বিস্তীর্ণ চলনবিল মাঠের চারদিকের বোরো ধানের সোনালী রং ধারন করায় যেন অপরুপ দৃশ্য সৃষ্টি করেছে। চারদিকে তাকালে চোখে পরবে শুরু সোনালী রঙের পাঁকা ধান আর ধান। করোনা ভয় উপেক্ষা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছে ধান কাটার শ্রমিকরা। চারদিক শুরু হয়েছে ধান কাটার মহোৎসব। ধান কাটা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন শতাধিক শ্রমিকদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মাস্ক ও শুকনা খাবার বিতরণ করার পাশাপাশি রাখা হয়েছে কঠোর নজর দারিতে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে গুরুদাসপুরে এ বছর ৪ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে হয়েছে বোরো ধান আবাদ। যা গত বছরের তুলনায় দুইশত হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রচন্ড খরাতাপ ও পোকার আক্রমণ হলেও কৃষকদের যথাযর্থ পরামর্শ দেওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বছর ফলনের লক্ষমাত্রা বেশি হবে বলে ধারনা করছে কৃষি বিভাগ।

শ্রমিকরা জানান, করোনার ভয় নিয়েই জীবন জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ধান কাটতে এসেছি। এই সময়ে ধান কেটে যে পরিমান ধান পায় তাতেই আমাদের সারাছরের খাওয়ার যোগান হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার ভালো ভাবে চলে যায়। কিন্ত এবছর ধানের ফলন কম হওয়ায় ধান পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত।

কৃষকরা জানান, আবাদে এবার সরকারি সহযোগিতার কমতি ছিল না। তেল ও সারে কোন অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এবছর অনাবৃষ্টি ও একধরনে পোকার আক্রমণে বেশির ভাগ জমির ধান নষ্ট ও চিটা হওয়ায় আধা পাঁকা ধান কাটতে হচ্ছে। ফলনও হয়েছে কম। গতবছর একবিঘা জমিতে ২৫-৩০মণ ধান হয়েছিল। এবার বিঘা প্রতি ১৫মণ ধান পাওয়ায় কঠিন। আবাদ খরচ ও শ্রমিক খরচ উঠাই কঠিন হবে। আমাদের এবছর অনেক লোকসান হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৪হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। কৃষক ইতিমধ্যে বোরো সংগ্রহ শুরু করেছে। কিছু কিছু জায়গার জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও অফিস কর্মকর্তাদের যথাযর্থ পরামর্শ দেওয়ায় আশা করছি ফলনের কোন অসুবিধা হবে না। এবার ফলনের লক্ষমাত্রা ২২হাজার ৬শত মেট্রিক টন নির্ধারন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) তমাল হোসেন জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের মাঝে শুকনা খাবার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তিনিও আরও জানান, মাঠে শ্রমিক থাকা পযর্ন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম ,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন হেমন্তকাল। মাঠ …