ব্যবসায়ীর
নিজস্ব প্রতিবেদক গুরুদাসপুর,,,,,,,,,,,ধার-দেনা শোধ করতে শেষ সম্বল বাড়ি বিক্রি করেও মুক্তি পাননি কুদরত আলী কিরণ
নামের এক বস্ত্র ব্যবসযায়ী। উপরন্ত বাড়ি বিক্রির ১৫ লাখ টাকা তুলতে গিয়ে
প্রতারণার শিকার হয়েছেন। টাকা চাইলেই নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বরকত আলী
নামের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী নেতা।
ভুক্তভোগি কুদরত আলী কিরণ গুরুদাসপুর পৌর সদরের খামার নাচকৈড় খোয়ারপাড়া
মহল্লার মৃত গুলমামুদ প্রামাণিকের ছেলে। বস্ত্র ব্যবসায়ী বরকত আলীর বিরুদ্ধে নানা
অভিযোগ এনে রবিবার(১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার সাবেক বাড়িতে সংবাদ
সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি কিরণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের দিকে
চাঁচকৈড় বাজারে ‘কিরণ ফেব্রিক্স’ নামে তার বস্ত্র ব্যবসা ছিল। সেসময় তিনি
ব্যবসায়িকবাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েন। ঋণ শোধ করতে কিরণ তার শেষ সম্বল
বসতবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হন। খামারনাচকৈড় মৌজায় তার নিজ নামীয় ১২
শতাংশের বাড়িটি তিনি ১৫ লাখ টাকায় সার ব্যবাসায়ী আব্দুস সোবহানের
কাছে বিক্রি করেন। সেসময় তার পক্ষে বাড়ি বিক্রির ১৫ লাখ টাকা বস্ত্র ব্যবসায়ী
সমিতির সভাপতি বরকত আলী গ্রহণ করেন। ওই টাকায় কিরণের ঋণ শোধ করার কথা
ছিল বরকত আলীর। কিন্তু বাড়ি বিক্রি করা হলেও কিরণের ঋণ শোধ হয়নি।
কুদরত আলী কিরণ বলেন, বাড়ি বিক্রির টাকা হাতে নিয়ে বরকত ঠিকমতো তার ঋণ
শোধ করেননি। এছাড়া বাড়ি বিক্রির ১৫ লাখ টাকার হিসাবও দেননি। বিষয়টি
নিয়ে তিনি থানা, উপজেলা পরিষদসহ নানা জায়গায় অভিযোগ দিয়েও বরকতের
উচ্চপদস্ত চাকরিজীবি ভাতির তদবিরে কোনো প্রতিকার পাননি। তিনি বরকতের
কাছ থেকে বাড়ি বিক্রির টাকা চান।
অভিযুক্ত বরকত আলী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার দেনদরবার হয়েছে। মূলত
আমাকে হয়রানি করতেই কিরণ এই ধরণের মিথ্যাচার করছেন।’
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন,
অভিযোগ পেয়েছি। টাকা পয়সার ব্যাপার হওয়ায় কিরণকে আদালতের শরনাপন্ন হতে
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।