শনিবার , ডিসেম্বর ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / গুরুদাসপুরে বাদির সাক্ষর জাল করে ভূয়া অভিযোগ

গুরুদাসপুরে বাদির সাক্ষর জাল করে ভূয়া অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে বাদির সাক্ষর জাল করে ভূয়া অভিযোগ দিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিষ্ট মো.মকুল হোসেনকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভুগি ফার্মাসিষ্ট মকুল হোসেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর নতুন পাড়ার মৃত-হাসেন প্রাং এর ছেলে।

ভুক্তভুগি মকুল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে তার নামে নাজিরপুর এলাকার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, আব্দুল মোমিন, সোলায়মান আলী, আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলামসহ ১২ জনের সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী পরিচালক প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ পৌছানোর কয়েকদিন পরে তিনি জানতে পারেন তার নামে একটি অভিযোগ হয়েছে।

সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই তিনি অভিযোগের কাগজে সাক্ষর করা প্রতিটি ব্যক্তির বাড়িতে যান এবং তাদের জিজ্ঞেস করেন কেন তারা মিথ্যা অভিযোগ তার নামে দায়ের করলেন। অভিযোগকারী ব্যক্তিরা জানেন না তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এক পর্যায় সকল অভিযোগ কারীর কাছে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জানাযায়, অজ্ঞাত কোন ব্যক্তি তাদের নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য এই অভিযোগে জাল সাক্ষর করে ভূয়া অভিযোগ দাখিল করে তাকে হয়রানী করছে।

অভিযোগের বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না। কে বা কাহারা তার নাম ও সাক্ষর জাল করে এই কাজগুলো করেছেন। তার জানামতে ফার্মাসিষ্ট মকুল হোসেন কোন খারাপ বা সমাজবিরোধী কাজের সাথে জড়িত নেই। তিনি শুধু এলাকার হত দরিদ্র মানুষের কথ্যা চিন্তা করে প্রাথমিক চিকৎসা প্রদান করেন।

অভিযোগের বিষয়ে আরো কথা হয় নাজিরপুর চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মোমিন, আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো অনেকেই জানান, তারাও এই অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেননা। তাদের সাক্ষর জাল করে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এ জন্য তারা ১০ জন ব্যক্তি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মহলে লিখিত ভাবে তাদের অভিযোগে বিষয়ে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিষ্ট মো.মকুল হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজিরপুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত-আমির মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম আমাকে হয়রানী করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দপ্তরে ভূয়া অভিযোগ দিয়েছেন। যাদের সাক্ষরিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা নিজেরাও জানেনা তারা অভিযোগ করেছেন। আমাকে ভূয়া অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করার সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম জানান, আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। এর সাথে কোন সম্পর্ক আমার নেই।

আরও দেখুন

পাখি ও বন্যপ্রাণি শিকারের তথ্য দিলেই উপহার! ১১ টি শালিক অবমুক্ত, পাখি রক্ষায় লিফলেট বিতরণ 

নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলনবিলে পাখি শিকার রোধ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন …