নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ
লিচুর নিরাপদ উৎপাদন, আহরণ ও সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে দেশের অন্যতম লিচু ভান্ডার খ্যাত নাটোরের গুরুদাসপুরের লিচু বাগানে উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছে পুলিশ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে লিচু বাগান পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার লিচু চাষী, বাগান মালিক ও লিচু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।
সভায় পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কেমিকেলমুক্ত লিচু উৎপাদনের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সমুন্নত রাখতে এবং হয়রানী ও চাঁদাবাজীমুক্ত পরিবেশে দেশের সকল এলাকায় লিচুর নির্বিঘ্ন পরিবহন নিশ্চিত করতে পুলিশ সব রকমের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে। লিচুর উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে লিচুর বিপনন মৌসুমে আড়ত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। কাজ করবে সাদা পোশাকের পুলিশ ও বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা। লিচুর বিপনন কার্যক্রমে মধ্যস্বস্তভোগীদের উৎখাত এবং আড়তদারী ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় নির্দেশিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণ করে লিচুর আহরণ ও পরিবহন এবং বাজার ব্যবস্থা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলেও পুলিশ সুপার আশা প্রকাশ করেন। সভায় উৎপাদকবৃন্দ কেমিকেলমুক্ত লিচু উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সার্কেল এএসপি জামিল আকতার, জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহমুদ-উন-নবী, লিচু আড়তদার সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, লিচু উৎপাদক সুলতান আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, লিচু ভান্ডার খ্যাত নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রায় সাড়ে ছয়শ হেক্টর জমির অন্তত চার হাজার লিচু বাগান থেকে আগামী ২১ মে থেকে লিচু আহরণ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রায় তিন সপ্তাহ ব্যাপী স্থানীয় লিচুর আড়তে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। এই আড়তের বাৎসরিক ব্যবসায়ের আর্থিক মূল্যমান শত কোটি টাকারও অধিক।
আরও দেখুন
বাড়ির উঠানে ৪ কেজি ওজনের গাঁজারগাছ-গ্রেপ্তার ১
নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,,,,,নাটোরের সিংড়া পৌরসভার বালুয়াবাসুয়া মোল্লা পাড়া এলাকায় ১০ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার …